৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গ্রেফতারকৃত আলেমদের ঈদের আগেই মুক্তি দিন : শীর্ষ উলামায়ে কেরাম

-

গ্রেফতারকৃত আলেমদের ঈদের আগেই মুক্তি এবং ঈদুল ফিতরের পরপরই কওমি মাদরাসা খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩০ আলেম। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে আলেমরা বলেন, পবিত্র রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। আল্লাহর দয়া লাভের মাধ্যমে মানুষের পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠার মাস। মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতার মাস। আল্লাহপাক তার বান্দাদের ভালোবাসেন। কুরআনে এসেছেÑ নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে উলামায়ে কেরাম তাকে বেশি ভয় করে। ঐশী জ্ঞানের অধিকারী ও নবীর ওয়ারিস উলামায়ে কেরাম পথহারা মানুষকে পথের দিশা দেন। তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ করছি, সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তি সরকারের কর্মকাণ্ডকে ইসলামবিরোধী প্রমাণ এবং সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করে জনগণকে সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ করার আত্মঘাতী তৎপরতায় মেতে উঠেছে। অসংখ্য নিরপরাধ আলেমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে সহজ-সরল আলেমদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ যাওয়ার কারণে তাদের পরিবারের নারী-শিশু সদস্যরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে এবং গ্রেফতার আতঙ্কে আলেম ও ইমামরা মসজিদ-মাদরাসায় যেতে পারছেন না। এসব কারণে মাদরাসাশিক্ষা ও আলেম-উলামাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে অবদান রেখে চলেছেন, তা ম্লান হতে চলছে।
বিবৃতিতে উলামায়ে কেরাম প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ঈদের আগেই গ্রেফতারকৃত নিরপরাধ আলেমদের মুক্তি দিন এবং ঈদের পরপর মাদরাসাগুলো খুলে দেয়ার অনুমতি দিন। আমরা দোয়া করিÑ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দেশ-জাতিকে করোনা মহামারীসহ সব আজাব থেকে রক্ষা করেন। করোনাভাইরাস ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় দূর করে মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে অন্যতম হলেনÑ মাওলানা নুরুল হক (সভাপতি, কওমি মাদরাসা সংগঠন কুমিল্লা), শায়খুল হাদিস মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী (সিলেট), মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মুফতি গোলাম রহমান (দারুল উলুম ঢাকা), মাওলানা আনোয়ারুল করিম (যশোর), ড. মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, (জামিয়া আরাবিয়্যা নতুনবাগ ঢাকা), প্রফেসর মাওলানা তৈয়বুর রহমান নিজামী (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), মাওলানা শহিদুল ইসলাম আনসারী, মাওলানা জামালুদ্দিন মাহমুদ (কাটাখালী মাদরাসা রাজশাহী), মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী (নাজিরহাট চট্টগ্রাম), মাওলানা আব্দুল মাবুদ (হাকিমপুর বাগেরহাট), মাওলানা মনিরুল হক কাসেমী (কুমিল্লা), মুফতি আরিফ বিল্লাহ, (জামিয়া কারিমিয়া ডেমরা), মাওলানা আব্দুল হক কাওসারী (জামিয়া আশরাফিয়া মাদানিয়া, পটুয়াখালী) প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্যজোট : ইসলামী ঐক্যজোটের নেতারা বলেছেন, জাতির বিবেক আলিম-ওলামাদেরকে কারাবন্দী রাখা একটি নির্লজ্জ নির্মমতা। তারা বলেন, মর্মান্তিক গণহত্যা, নির্যাতন এবং সীমাহীন অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের পর আলেমদের কারাবন্দী রেখে ঈদ পালন বিবেকের দংশন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের চরম অকল্যাণ ছাড়া কিছুুুই আনবে না। তারা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ঈদের আগেই অবিলম্বে আলেমদেরকে নিঃশর্ত মুক্তিদানের জোর দাবি জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন। বিবৃতি দাতাদের মধ্যে আছেন, ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা শওকত আমীন, অধ্যাপক মাওলানা ইলিয়াস মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার শামছুল হক, সিদ্দিকুর রহমান বি কম ও মাওলানা মুজাম্মিল তালুকদার, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস আতহারী, ঢাকা মহানগর সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন আনসারী, কেন্দ্রীয় নেতা শায়খ মুহাম্মদ ইসমাঈল, মাওলানা আ ন ম রহীম উল্লাহ, মাওলানা আবুল কাসেম, মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ প্রমুখ।
ইমাম-খতিব ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ : গতকাল শনিবার সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে আলেম-উলামা ও মুসল্লিদের জন্য ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি সুলতান আহমাদ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ আলেম-উলামাদের গ্রেফতার বন্ধ করুন। যেসব আলেম ওয়াজ নসিহতের মাধ্যমে দ্বীনি কার্যক্রম করেন তাদের হয়রানি করবেন না। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement