মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে অঙ্গীকারবদ্ধ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০২:২৭
মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী কাইয়া টিন জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ছাড়া বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশী দেশের সাথে শান্তিপূর্ণ সহবস্থান ও পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনকে লেখা এক চিঠিতে মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী কাইয়া টিন এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
চিঠিতে কাইয়া টিন লিখেছেন, মিয়ানমার প্রতিবেশী দেশের সাথে পারস্পারিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যেকোনো দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের সমাধান করতে চায়। গত ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মিয়ানমারের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো আমিও মনে করি করোনা মহামারীর কারণে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জাতির মধ্যে পারস্পারিক সংহতি ও সহযোগিতা প্রয়োজন। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ভিত্তিতে ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন।
কাইয়া টিন ড. মোমেনের সুস্বাস্থ্য এবং বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। গত ১ জানুয়ারি ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দেয়ার জন্য ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানান মিয়ানমারের মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, কাইয়া টিন ও ড. মোমেন একই সময়ে জাতিসঙ্ঘে নিজ নিজ দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সে সময় থেকে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে।
হিন্দু রোহিঙ্গাদের ফেরত চায় মিয়ানমার : করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে এলে প্রত্যাবাসনের প্রথম ব্যাচেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৪৪৪ জন হিন্দু রোহিঙ্গাকে ফেরত চায় মিয়ানমার। একইসাথে তারা যাচাই-বাছাই করা ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নিতে আগ্রহী।
গত ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমার এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। রেডিও ফ্রি এশিয়ার সাথে আলাপকালে মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আং কু জানান, আমরা হিন্দুদের যত শিগগির সম্ভব প্রত্যাবাসনের অনুরোধ জানিয়েছি। তবে শুধু হিন্দু নয়, আমরা যাচাই-বাছাই করা সবাইকেই ফেরত নেয়ার আগ্রহের কথা বলেছি। তিনি বলেন, আমরা হিন্দুদের আলাদা করছি না। তবে তারা যাচাই-বাছাই করা তালিকার অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলে আমরা এই তালিকা ধরে সবাইকে ফেরত নিতে চাই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা