মূলহোতা দেলোয়ার রিমান্ড শেষে কারাগারে
- নোয়াখালী সংবাদদাতা
- ২৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার মূলহোতা দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক মাশফিকুল হক এ আদেশ দেন। পরে তাকে জেলা কালাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। এর আগে দু’টি মামলায় দু’দিনের রিমান্ডসহ তিন মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। এ মামলায় আটজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলেও মূলহোতা দেলোয়ার জবানবন্দী দেয়নি।
গত ১৮ অক্টোবর দেলোয়ারকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করে রিমান্ড চাইলে আদালত ধর্ষণের মামলায় পাঁচদিন এবং অপর দু’টি মামলায় দু’দিনসহ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গুলজার আহমেদ জুয়েল খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণসহ তিন মামলায় দেলোয়ারকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে এবং এর আগে দু’টি মামলায় দু’দিনের রিমান্ডসহ মোট সাত দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। এ নিয়ে বেগমগঞ্জের একলাশপুরের আলোচিত মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে আটজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
গত ৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাকে আটক করে র্যাব। পরদিন দেলোয়ারের মাছের ঘের থেকে হাতবোমা উদ্ধার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করে র্যাব।
প্রসঙ্গত, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার মেয়ের সাথে স্বামীর মনোমালিন্য ছিল দীর্ঘদিন। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় তিনি বাবার বাড়িতে চলে আসেন। তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের জননী। এক মেয়েকে বিয়ে দেন অপর ছেলে একলাশপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। একাকিত্বের এ সুযোগে স্থানীয় বাদল ও দেলোয়ারের নেতৃত্বে এলাকার রহিম, কালাম ও তাদের দোসররা ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী শ্বশুর বাড়িতে আসেন। তারা ঘরে অবস্থান করা কালে স্বামীসহ গৃহবধূকে আটক করে অভিযুক্তরা ব্যাপক নির্যাতন চালায়। ঘটনার ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবস্ত্র নির্যাতনের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা