০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অন্ধকার ভবিষ্যত লাখো শিশুর

যুক্তরাষ্ট্রে দিনে আক্রান্ত ৪০ হাজার; প্রতি ১৬ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু; সংক্রমণে আরবদের দায়ী করছে ইসরাইল; ২৮ দিনের রেড অ্যালার্ট কানাডায়
-

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে গরিব লাখ লাখ শিশুকে পরিবারের খরচ জোগাতে লেখাপড়া ছেড়ে কাজে নামতে হয়েছে, বেড়েছে শিশুশ্রম। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় ওই সব শিশু হয়তো চিরদিনের জন্য ঝরে পড়বে। জাতিসঙ্ঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ শিশু স্কুলে থেকে ঝরে যাবে।
মহামারী বহু মানুষকে কর্মহীন করে দিয়েছে। লকডাউনের কারণে বিশেষ করে শ্রমজীবী শ্রেণীর মানুষের আয় বলতে গেলে বন্ধ হয়ে গেছে। তাই পরিবারের খরচ মেটাতে বাবা-মার পাশাপাশি শিশুরাও কাজে নামতে বাধ্য হয়েছে। বেশির ভাগ সময় এসব শিশুকে অত্যন্ত কষ্টসাধ্য কাজ করতে হয়। কোথাও কোথাও তারা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করে।
সব শিশুর শিক্ষা গ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা, শিশুশ্রম বন্ধ এবং জীবনমানের উন্নতির মাধ্যমে তাদের দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল মহামারীর কারণে তার প্রায় সবই এখন বন্ধ হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে স্কুলগামী প্রায় ১০০ কোটি শিশুর ওপর। অসংখ্য মেধাবী শিশুর শিক্ষাজীবন থেমে গেছে।
মহামারী যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে কবে স্কুল খুলবে তা কেউ বলতে পারছে না। স্কুল খুললেও সব শিশু ফিরতে পারবে কি না না নিয়েও ঘোরতর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। খবর ওয়ার্ল্ডোমিটারস, স্কাই নিউজ, এনডিটিভি, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, বিবিসি বাংলা, নিউ ইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, রয়টার্স, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রে দিনে আক্রান্ত হচ্ছেন ৪০ হাজার : যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক গড়ে ৪০ হাজার মানুষের করোনাভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে। শীর্ষ মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি এবিসি নিউজের ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ শোতে বলেছেন, ‘দেশ এ মুহূর্তে ভালো অবস্থায় নেই। শীতের আগমনীর এ সময়ে সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি কাম্য নয় এবং এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। দেশের কিছু অঞ্চলে নিশ্চিতভাবেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো। কিন্তু কিছু রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। আবার কিছু রাজ্যে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এই রাজ্যগুলোতে মৃতের সংখ্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
আক্রান্ত তিন কোটি ৩৫ লাখ ছাড়াল : বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৩। এর মধ্যে ১০ লাখ ছয় হাজার ৩৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৭ জন। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১১, মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৯ হাজার ৮০৮ জনের। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ লাখ ৪৩ হাজার ১৯ এবং ৯৬ হাজার ৩৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩২৭, এক লাখ ৪২ হাজার ১৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৩৮৪, চার হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতি ১৬ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু : বিশ্বে করোনা মহামারীতে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৪০০ জনের বেশি লোকের মৃত্যু হচ্ছে। সেপ্টেম্বর থেকে ভাইরাসে এ পর্যন্ত যত প্রাণহানি ঘটেছে, তার গড় হিসাবে এই তথ্য পাওয়া গেছে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে করোনাজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু বেড়ে পাঁচ লাখ থেকে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। মহামারীতে প্রতি ঘণ্টায় এখন ২২৬ জনের মৃত্যু হচ্ছে আর প্রতি ১৬ সেকেন্ডে মারা যাচ্ছেন একজন।
ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রাণ যাবে ৫ লাখ হাঙরের : করোনার ভ্যাকসিন তৈরির যে চেষ্টা চলছে, তার কয়েকটিতে স্কোয়ালিন নামে এক ধরনের উপাদান ব্যবহার হচ্ছে। স্কোয়ালিন প্রাকৃতিক তেল, যা তৈরি হয় হাঙরের যকৃতে। এই তেল শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির মাধ্যমে কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয় ভ্যাকসিনের। ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন এখন ফ্লু ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে স্কোয়ালিন ব্যবহার করছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা করোনা ভ্যাকসিনে সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য স্কোয়ালিনের একশো কোটি ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এক টন স্কোয়ালিন পেতে প্রায় তিন হাজার হাঙরের প্রয়োজন হয়। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা ‘শার্ক অ্যালায়েজ’ হিসাব কষে বলেছে, সমগ্র বিশ্বের জনগোষ্ঠীকে যকৃতের তেলের উপাদানসহ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের একটা ডোজ দিতেই আড়াই লাখ হাঙর মারা পড়বে।
করোনা ঠেকাতে নেদারল্যান্ডসে নতুন নিয়ম : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে নতুন নিয়ম জারি করেছে নেদারল্যান্ডস। দেশটিতে প্রথমবারের মতো লোকজনকে শপিংমল ও বাজারের কেনাকাটার সময় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নতুন এই নিয়ম মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হবে। কমপক্ষে তিন সপ্তাহ এই নিয়ম জারি থাকবে। সব ধরনের রেস্টুরেন্ট এবং বার রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে।
সুস্থতার হার বেড়েছে ভারতে : ভারতে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার বাড়ছে। দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ হাজার ৫৮৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৭৬ জনের এবং গত ২৮ দিনের মধ্যে এই সংখ্যা ছিল সর্বনিম্ন। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু উভয়ই কমেছে। দেশটিতে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুহার দেড় শতাংশ।
১০ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে জাপান : আগামী মাসে ১০ দেশের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে জাপান। এর ফলে অন্যান্য দেশও জাপানিদের সেসব দেশের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে বলে আশা করছে দেশটি। সোমবার দৈনিক নিক্কেই বিজনেসের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স। নিক্কেই জানিয়েছে, ওই দেশের তালিকায় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভিয়েনাম বা করোনাভাইরাসের কম সংক্রমণ আছে এমন দেশ রয়েছে। তবে এসব দেশে জাপানিরা প্রবেশ করতে পারবে কি না তা সেইসব দেশের সরকারের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে নিক্কেই।
করোনা প্রতিরোধে সাহায্য করে মায়ের দুধ : চীনা বিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, মায়ের বুকের দুধ কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। বেইজিংয়ের একদল গবেষক সার্স- কোভ-২ ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা কোষগুলোতে মায়ের বুকের দুধের প্রভাব পরীক্ষা করেছেন। দুধের কার্যকারিতা পশুর কিডনি কোষ এবং মানবদেহের ফুসফুস ও অন্ত্রকোষে পরীক্ষা করে গবেষকরা জানান, মায়ের বুকের দুধে অধিকাংশ জীবিত ভাইরাস মারা যায়। বুকের দুধ ভাইরাসের প্রবেশেও বাধা দিতে পারে। বেইজিং ইউনিভার্সিটি অব কেমিক্যাল টেকনোলজির অধ্যাপক টং ইগাংয়ের গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। তাদের গবেষণা নিবন্ধ গত শুক্রবার ‘বায়োরেক্সিভ ডট ওআরজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়।
কানাডায় ২৮ দিনের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি : কানাডার বেশ কিছু সিটিতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তাই এই সব জায়গায় ২৮ দিনের জন্য বার, রেস্তোরাঁ, থিয়েটার এবং দর্শনীয় স্থান জাদুঘরগুলোও বন্ধ থাকবে। ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার, মধ্যরাত থেকে আগামী ২৮ দিনের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে বার, রেস্তোরাঁ, ক্যাসিনো বন্ধ থাকবে, পাশাপাশি বন্ধ থাকবে প্রেক্ষাগৃহ, সিনেমা থিয়েটার, অভ্যর্থনা কক্ষ, বনভোজন হল, শোরুম, জাদুঘর এবং গ্রন্থাগারগুলোও। এই সংস্থাগুলো আগামী ২৮ অক্টোবর আবারো খুলতে পারে।
করোনা পরীক্ষায় নতুন প্রযুক্তি চালু : বিশ্বের ১৩৩টি দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নতুন এক প্রযুক্তি চালুর পরিকল্পনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে, নতুন এই পরীক্ষা ব্যবস্থা দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আরো অনেক সক্ষম করে তুলবে। অনেকে দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও তার ফল পেতে যে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয় তাতে সেসব দেশ সংক্রমণ প্রতিরোধে পিছিয়ে যাচ্ছে। অনেক দেশে নমুনা পরীক্ষার হার কম হওয়ার কারণে সংক্রমণের সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন, সহজে বহন ও ব্যবহারযোগ্য এই পরীক্ষা ১৫ থেকে ৩০ মিনিটে ফল সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে পারবে।
গরিব দেশগুলো ৫ ডলারে পাবে কিট : করোনা পরীক্ষার একটি কিটের দাম হবে সর্বোচ্চ পাঁচ ডলার বা বাংলাদেশের মূল্যে ৪০০ টাকার কিছু বেশি। করোনা পরীক্ষার জন্য অর্থ সাশ্রয়ী ১২ কোটি কিট নিম্ন ও মধ্য-আয়ের দেশগুলোকে দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচএ)। গত সোমবার ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের জন্য ১২ কোটি টেস্ট কিট তেরি করে দিতে সম্মত হয়েছে চিকিৎসাসামগ্রী প্রস্তুতকারী দুই প্রতিষ্ঠান অ্যাবোট ও এসডি বায়োসেনসর। এই র্যাপিড টেস্ট কিট আগামী ছয় মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৮০ হাজার স্কুলশিক্ষার্থী আক্রান্ত : গত ১ মার্চ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার স্কুলশিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মোট আক্রান্তের চার শতাংশ স্কুলশিক্ষার্থীরা। আর এদের মধ্যে যাদের বয়স ৫ থেকে ১১ তাদের তুলনায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীরা দ্বিগুণ হারে আক্রান্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৫ স্কুলশিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৩ হাজার ২৪০ জনকে। এর মধ্যে ৪০৪ জনকে রাখা হয়েছিল আইসিইউতে। এ ছাড়া ৫১ স্কুলশিক্ষার্থী করোনায় মারা গেছে।
সংক্রমণে আরবদের দায়ী করছে ইসরাইল : ইসরাইলে করোনাভাইরাস মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পেছনে দায়ী হচ্ছে আরব নাগরিক এবং আলট্রা-অর্থোডক্স ইহুদিরা। ইসরাইলের বিচারমন্ত্রী আভি নিসেনকর্ন এমন মন্তব্য করেছেন। চ্যানেল ১২-কে নিসেনকর্ন বলেছেন, দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য তেল আবিবে অনুষ্ঠিত হওয়া সাম্প্রতিক বিক্ষোভ দায়ী নয়। এই ভাইরাস হারেদি এবং আরব বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আর এখন এটি পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ইসরাইলি এই মন্ত্রী বলেন, আমি বলছি না যে হারেদি এবং আরব সোসাইটিতে এই মহামারী শুরু হয়েছে। তবে ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানে মহামারী’ আকার ধারণ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
করোনা নেই বলছে অনেক আফ্রিকান : আইভরি কোস্ট বা কঙ্গোর মানুষ বলছেন, করোনা তো চলে গেছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ করোনার সংক্রমণ রোধে নিয়মকানুন শিথিল করেছে। বসন্তের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকায় লকডাউন অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়। আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট অ্যালাসানে কোয়েটারা বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাস পরোয়া করি না।’ আইভরি কোস্টে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কেউ কোথাও এই নিয়ম মানেন না। কঙ্গোর রাজধানী কিনসাসার আবাসিক এলাকা গম্বের শ্রমজীবী মানুষের বেশির ভাগই মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখেন। লিঙ্গালাতে কোথাও করোনা নেই, এমন প্রবাদ প্রচলিত। চাদ ও গ্যাবনে বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক থুতনিতে পরেন। রুয়ান্ডায় মাস্ক ঠিকমতো না পরায় পুলিশ অনেককেই আটক করে।

 


আরো সংবাদ



premium cement