২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাতীয় শোক দিবস পালিত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়া করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাথে সায়মা হোসেন পুতুল : বাসস -

যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুষ্পস্তবক অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারণ, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কাঙালি ভোজ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দিবসটিতে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মানুষজন বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের রাস্তায় জমায়েত হতে থাকে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রতিকৃতির বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন, তখন বেজে উঠে বিউগলের করুণ সুর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম ঘটনায় নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত বিশেষ মুনাজাতে এ সময় অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে ঘুরে ঘুরে তার পিতার স্মৃতিচিহ্ন পরিদর্শন করেন এবং সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা সময় কাটান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ভবনের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাতে যে সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়েছিল সেখানে গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডি থেকে বনানী কবরস্থানে যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের নির্মম ঘটনায় নিহতদের কবরে শ্রদ্ধা জানান। পরে সেখানে তিনি দোয়া ও মুনাজাতে অংশ নেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো: ফজলে রাব্বী মিয়া ও চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরীসহ মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী স্থান ত্যাগ করার পরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেনÑ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও আহমদ হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ভোরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলীয় সকল কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে শোক দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচারসহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবন ত্যাগ করার পরই সকলের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্থানটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে সরকার সমর্থক বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো: বজুলর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির নেতৃতে উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে যুবলীগ, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের নেতৃত্বে কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের নেতৃত্বে দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ ছাড়াও ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এ ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাপ মোজাফ্ফর), তরিকত ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ বেতার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, শেখ রাসেল শিশু সংসদ, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পরই রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ কাঙালি ভোজের আয়োজন করে। এতিম দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে কাঙালিভোজের খাবার বিতরণ করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বিভিন্ন ওয়ার্ডে এতিম, অসহায়, দুস্থ ও গরিব মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন।
রাজধানীতে কৃষক লীগ রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, জাতীয় শোক দিবস গতকাল বন্দর নগরী চট্টগ্রামে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
সকালে কালো ব্যাজ ধারণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অঙ্গসংগঠন, জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, নারী নেতৃবৃন্দ, আনসার সদস্যসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ডিসি হিলসহ বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনব্যাপী খতমে কুরআন মিলাদ মাহফিল, জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ এবং মন্দির গির্জা প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়েছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে গতকাল শনিবার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগর ভবনের সম্মুখস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ৃয়া, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সেলিম আকতার চৌধুরী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা আকতার নেলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা পারভীন, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দীকিসহ করপোরেশনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস গতকাল শনিবার খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, বৃক্ষরোপণ প্রভৃতি।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী তিনি ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, কেএমপির পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, ডিআইজি ড. খ: মহিদ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
এরপর খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
কেসিসির উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুই হাজার ৭৫ বার পবিত্র কুরআন মজিদ খতম এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, ময়মনসিংহে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কুরআনখানি, মিলাদ মাহফিল, কালোব্যাজ ধারণ, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, গণভোজ এবং মসজিদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনার মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। শনিবার সকালে সার্কিট হাউজসংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, মনিরা সুলতানা মনি এমপি, সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়সহ র্যাব, বিজিবি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস মৌলভীবাজারে নানা আয়োজনে পালন করেছে জেলা প্রশাসন। সকালে বঙ্গবন্ধু মুর্যাল এ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, পুলিশ সুপার মো: ফারুক আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠন, মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাব, মৌলভীবাজার পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদসহ সরকারি বিভিন্ন দফতর, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা জানান, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এ ছাড়া রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মো: আলমগীর কবিরসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মো: মুছা মাতব্বরসহ পরিষদের সদস্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী। শনিবার সকাল ১০টায় তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনায় পবিত্র ফাতেহাপাঠ, দোয়া ও মুনাজাত করেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম গার্ড অব অনার প্রদান করে।
কুমিল্লøা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লøায় বিনম্্র শ্রদ্ধায় জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার নগর শিশু উদ্যানের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি, আঞ্জুম সুলতানা সীমা এমপি, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার মো: সৈয়দ নুরুল ইসলাম। এখানে মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
মাগুরা সংবাদদাতা জানান, যথাযোগ্য মর্যাদায় মাগুরায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় নোমানী ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য শ্রী বিরেন শিকদার, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার খান মোহম্মদ রেজয়ান, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ জেলার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া জেলার সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল সকালে বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মেহেদুল করিম বিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, যথাযথ মর্যাদায় সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ভোর ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা: মো: হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল এবং একই স্থানে বিকেল ৪টায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো: আনিসুর রহমান, পৌরমেয়র নায়ার কবিরসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। পরে স্থানীয় আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দোয়া ও শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় গভীর শ্রদ্ধায় জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা জানান, কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে ১৫ আগস্ট শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
জয়পুরহাট সংবাদদাতা জানান, দিবসটি উপলক্ষে জয়পুরহাটে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা সরকারি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, সকাল ৭টায় শহরের শহীদ ডা: আবুল কাশেম ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত। সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওলামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু।
ঝালকাঠি সংবাদদাতা জানান, সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। পরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি শোকর্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মিলাদ। এতে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি। জেলা প্রশাসক মো: জোহর আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো: শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমান এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির।
পটুয়াখালী সংবাদদাতা জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জেলা পুলিশ, প্রেস ক্লাব, পৌরসভা, চেম্বার অব কমার্স, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে এবং অনেকে ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ ছাড়াও এ দিবস উপলক্ষে শোকর্যালি ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, মানিকগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিফলকে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ফৌজিয়া খানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, মানিকগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে মেয়র মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিমসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, শোকর্যালি, আলোচনা, মিলাদ মাহফিল ও গণভোজের মধ্যে দিয়ে ঝিনাইদহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বিভিন্ন সংগঠন।
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। শহরের সাতমাথা এলাকায় কৃষ্ণচূড়ার নিচে স্থাপিত মুজিব মঞ্চে এ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। সকাল ৮টায় বগুড়া জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ বিভাগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এরপর বগুড়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, জেলা সিআইডি পুলিশ বিভাগ ও অন্যান্য ইউনিট, জেলা পরিষদ, বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা পরিষদ, বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বিআরটিএ বগুড়া সার্কেল, বগুড়া প্রেস ক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখা, মুক্তিযোদ্ধা টেকনিকেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন।
গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, আলোচনাসভা ও খাদ্য বিতরণ প্রভৃতি।
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়াও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: শরিফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: হায়াতুন নবী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম, সদরের ওসি মো: শহীদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আপ্তাব উদ্দিন, অ্যাডভোকেট রইছ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যরিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নান্টু রায়, হায়দার চৌধুরী লিটন প্রমুখ।
পঞ্চগড় সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে পঞ্চগড় সার্কিট হাউজ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদেন করেছেন। এরপরই ১৫ আগস্টের শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, পঞ্চগড় প্রেস ক্লাব, জেলা আওয়ামী লীগসহ সরকারি-বেসরকারি সংগঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
নরসিংদী সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস নরসিংদীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। নরসিংদী জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জয় বাংলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। এ সময় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার) পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কমল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) চৌধুরী আশরাফুল করিমসহ পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নড়াইল সংবাদদাতা জানান, বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নড়াইলে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকালে মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপির পক্ষ থেকে এবং জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন, নড়াইল পৌরসভা, নড়াইল প্রেস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুরনো বাস টার্মিনাল চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
শরীয়তপুর সংবাদদাতা জানান, শরিয়তপুরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে অর্ধ-নমিতাবস্থায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ৯টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জেলাবাসীর পক্ষে প্রথমে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজশাহীতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সকালে রাজশাহী নগরীর কুমারপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
ইবি সংবাদদাতা জানান, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে (ইবি) দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসস্থ ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের দুই কমিটি, শাপলা ফোরাম ও শাখা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বাউয়েট ক্যাম্পাসে জাতীয় শোক দিবস পালন
বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বাউয়েট) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্যাম্পাসের স্কাইলাইট হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মোস্তফা কামাল।
ফরিদপুর সংবাদদাতা জানান, সকাল সোয়া ৭টায় শহরের থানা রোডে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলনের পর অম্বিকা ময়দানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্যসচিব আইভি মাসুদ, পৌরমেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নেত্রকোনা সংবাদদাতা জানান, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনির্মিতভাবে উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় স্থানীয় মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

 


আরো সংবাদ



premium cement