২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাজারে দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির

বাজার দর
বাজারে বেড়েছে সবজির জোগান, সেই সাথে দামও বেড়েছে : নয়া দিগন্ত -

ঢাকার বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। ঈদের আগে-পরের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। বৃষ্টির পরিমাণ আর বাড়লে সবজির দামও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের অনুমান। মাছ, ডিম, মুরগি, গরু ও খাসির গোশতের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। চালের দামও কিছুটা কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে বৃষ্টি বাড়লে চালের দাম আবার বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কেউ কেউ।
গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাকা টমেটো, গাজর, পটোল, ঝিঙে, ধুন্দল, বরবটি, পেঁপেসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দামই বাড়তি। এক কেজি পেঁপে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিন আগেও দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ৩৪ থেকে ৪০ টাকার গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে রোজার ভেতর ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম কমে ৪০ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। এক মাস আগে ১৫ থেকে ২৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এ ছাড়া কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ঝিঙে, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, পটোল প্রভৃতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আলুর দাম বেড়ে ২৮ থেকে ৩০ টাকা হয়েছে।
খিলগাঁও বাজারে গতকাল ভালো মানের দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। অবশ্য ভ্যানে করে একই পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতেও দেখা যায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা কেজিদরে। আদার কেজি এখনো ১৫০ টাকা। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। যদিও পাইকারি বাজারে এসব পণ্য ঈদের আগের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা। এ ক্ষেত্রে আগের কেনা অজুহাতে খুচরা বিক্রেতারা দাম কমাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। শসা পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটির কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। নতুন সবজি হিসেবে কচুরমুখীর দাম একটু বেশি। ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি। কচুর লতির কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
আগের মতোই রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৪০০ টাকায়। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, চাষের শিং ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। ডিমের ডজন ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। গরুর গোশতে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা আর খাসির গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
এ দিকে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় চালের দাম কিছুটা কমেছে। মিনিকেট ও নাজিরশাল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি, মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৬ টাকা। লুজ সয়াবিন তেল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, ভালো মানের পাম অয়েল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বড় দানার মসুরের ডাল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, ছোট দানার মসুরের ডাল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ১২০ টাকা। চিনির কেজি ৭০ টাকা। বাজারে সুগন্ধী চালের দাম আগে থেকেই চড়া। খোলা চিনিগুঁড়া চালের প্রতি কেজির দাম মানভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement