সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ নভেম্বর তাকে মামলার নথিসহ (কেস ডকেট) আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনটি দায়ের করেন ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারের পর জামিনে থাকা মো: তানভীর রহমান। তানভীর রহমানের ক্ষেত্রে ওই মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: সরওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এ বিষয়ে ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, এখন পর্যন্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন হয়নি। আমাদের প্রার্থনা ছিল এ ব্যক্তি কত বছর আদালতে যাবেন এ মামলাটার জন্য। এ কারণে দ্রুত প্রতিবেদন দেয়া উচিত। বিচার শুরু হওয়া উচিত। না করতে পারলে তাকে অব্যাহতি দেয়া উচিত। এটা শুনে আদালত ৬ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলার সম্পূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে আদালতে আসতে বলেছেন এবং রুল দিয়েছেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদি হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো: রবিউল আলমের ওপর। দু’মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্ত দেয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১ অক্টোবর সন্দেহভাজন হিসেবে তানভীরকে গ্রেফতার করে। ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর তাকে হাইকোর্ট জামিন দেন।
গত ১ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ৬৮ বারের মতো পেছানো হয়। ওই দিন ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস ১৪ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা