বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা জাতিসঙ্ঘের কাছে তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত রাতে স্থায়ী কমিটির সাথে বৈঠকের পর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘের কাছে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলেছি। তারা এ ব্যাপারে যা কিছু জানতে চেয়েছেন সেগুলো আমরা জানিয়েছি। বর্তমানে গণতন্ত্র যে হুমকির মুখে সে বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের মনোভাব কেমন প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আলোচনা করেছি, সব কিছু বলেছি। ওনারা বিষয়গুলো দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে তার সফর হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা পরিষ্কার যে, জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। যেহেতু কফি আনান (সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল) সাহেবের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান ছিল, উনি (বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল) চলে গিয়েছিলেন। আমরা জাতিসঙ্ঘের যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, তার সাথে কথা বলেছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, জাতিসঙ্ঘের যে চার্টার আছে সেই চার্টারের মধ্যে পরিষ্কার বলা আছে, সদস্য দেশের সরকার, বিরোধী দল, রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও সংগঠনের যে কেউ তাদের যেকোনো বিষয় বিশ্ব সংস্থায় উত্থাপন করতে পারে।
লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে সাাৎ হয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে আমার লন্ডনে দেখা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক হয়। বৈঠকে ড. মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি মহাসচিব কথা বলার সময়ে প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে এবং শুক্রবার ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়টি স্থায়ী কমিটির সদস্যদের অবহিত করেন।
মির্জা ফখরুল নিউ ইয়র্ক সফর শেষে লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সাথে দেখা করে দেশে ফিরেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা