১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫
`


মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমাও ৩৫

-

বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদরাসায় শিক্ষা নিয়োগের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের কর্মকর্তাদের এক সভায় বয়সসীমার বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদরাসা) রওনক মাহমুদ বলেন, কারিগরি ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আলাদা দুটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। নীতিমালায় বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক নিয়োগের মতোই বিধি থাকছে। খসড়া চূড়ান্ত করা হলেও মঙ্গলবার সভায় শিক্ষকদের নিয়োগের বয়সসীমার বিষয়টি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সে সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী বেসরকারি মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি এমপিও নীতিমালার সাথে মাদরাসা ও কারিগরি নীতিমালায় সার্বিক মিল থাকলেও এতে শিক্ষকদের নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির পর সেসব প্রতিষ্ঠানে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সচিব, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী অনুমোদন দিলে নীতিমালাটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। এরপর কারিগরি ও মাদরাসায় নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে। ওই নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয় ৩৫ বছর। পাশাপাশি বদলির ব্যবস্থাও রাখা হয়। কিন্তু ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কারিগরি ও মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ বয়সসীমা নির্ধারণ না করায় বিতর্ক দেখা দেয়। প্রশ্ন ওঠে দেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নিয়োগ পেতে বয়স ৩৫ বছর থাকবে আর কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষকদের নিয়োগে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, সমমানের পদে নিয়োগে এ বৈষম্য অনৈতিক। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উঠলে তা পরিবর্তন করে নতুন করে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষকদের বদলিসংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে রওনক মাহমুদ বলেন, সরকার চাইলে যেকোনো সময় যেকোনো বেসরকারি কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষককে বদলি করতে পারবেন, এ জন্য বদলি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয় নীতিমালাটি অনুমোদন দিয়েছে। মাদরাসা ও কারিগরির ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য আছে। সেগুলো ঠিক করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে তিনি জানান।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে মোট মাদরাসার সংখ্যা ৯ হাজার ১৩৭টি। এসব মাদরাসায় শিক্ষক রয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৩৪৪ জন। এর মধ্যে দাখিল ও কামিল মাদরাসায় শিক্ষক রয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৭ জন, ইবতেদায়ি শিক্ষক ৪ হাজার ৫২৯ জন এবং আইসিটি শিক্ষক রয়েছেন ১২২৮ জন। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত দাখিল-কামিল মাদরাসা ৭ হাজার ৬১৮টি। অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি ১৫১৯টি।
সম্প্রতি অনুদানভুক্ত ১৫১৯টি মাদরাসাসহ আরো বেশ কিছু মাদরাসা অনুদান না পাওয়া এবং নন-এমপিও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে।


আরো সংবাদ



premium cement