মস্কোর শহরের ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে ব্রোনিৎসা শহরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন আর্জেন্টিনার। মেট্রো আর বাস মিলিয়ে যেতে দুই ঘণ্টার বেশি লাগে। তবে পৌঁছার পর শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায় এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে। গাছপালা ঘেরা একেবারে নিরিবিলি পরিবেশ। অবশ্য মস্কো শহরেও সবুজের ব্যাপক উপস্থিতি। প্রতিটি বাড়ির সাথে অনেক গাছ আর খোলা জায়গার উপস্থিতি। তবে মেসিদের আগমন ব্রোনিৎসার এই নীরবতায় ইতি ঘটিয়েছে স্থানীয় ফুটবলপ্রেমীদের কোলাহলে। তারা আর্জেন্টিনার ভক্ত। সাথে মেসির জন্য পাগল। প্রায় পাঁচ শতাধিক সমর্থকের মুখে এক আওয়াজ মেসি, মেসি। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হবে কি না তা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। বরং তাদের প্রত্যাশাÑ মেসির উজ্জ্বল পারফরম্যান্স। তাই তাদের একটানা চিৎকার-চেঁচামেচি এই আর্জেন্টিনা দলপতি এবং বার্সেলোনা তারকাকে উদ্দেশ করে। নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা তাদের জন্য ছিল বড় সমস্যা।
১০ বছরের বালক ডিমা। তার গায়ে আর্জেন্টিনার জার্সি। তার বক্তব্যÑ অনেকে বলতে পারে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতবে না। কারণ তারা সেরা দল নয়। আমি তাদের সাথে একমত নই। আমার যুক্তি, তাদের তো মেসির মতো খেলোয়াড় আছে। তার পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব।
মাঝ বয়সী এক ব্যক্তি বাইসাইকেলে কর্ডোভা থেকে মস্কোতে এসেছেন মেসিকে দেখার জন্য। আরেকজন চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে মস্কোতে এসেছেন। এদের হতাশ করেননি মেসি। প্র্যাকটিস শেষে এই পাগল সমর্থকদের মন খুশি করতে ১০ মিনিট সময় দিলেন তিনি। অগণিত দর্শককে অটোগ্রাফ দিলেন। ছোট ছোট ফুটবলে দিচ্ছিলেন অটোগ্রাফ। সাথে অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক দৃষ্টি ছিল সর্বত্র। মেসি পূরণ করলেন এই সমর্থকদের ছবি তোলার খায়েশও। মেসির পর আকর্ষণের বিষয় ছিলেন পাওলো দিবালা ও মাসকেরানো। তারাও হাত বাড়িয়ে দিলেন সমর্থকদের জন্য। দল অনুশীলন শেষে ফেরত যাওয়ার সময়ও তাদের বাসের পাশে ভিড় লেগে থাকে সমর্থকদের।
প্র্যাকটিসে অবশ্য বেশ সতর্ক কোচ জর্জ সাম্পাওলি। ইনজুরির জন্য বাদ দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রোমেরো ও লানজিনি। তাই এই প্র্যাকটিসে অনুপস্থিত ছিলেন বানেগা। মাসলের ইনজুরি এখনো পুরোপুরি সারেনি বানেগার। তবে পুরোপুরি সুস্থ স্ট্রাইকার সার্জিও অ্যাগুয়েরো। এই অনুশীলনে অবশ্য আর কোনো ইনজুরির সমস্যা দেখা দেয়নি। প্র্যাকটিসের একটা বিশেষত্ব দেখা গেছে, দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করলেও মেসি আক্রমণের সময় দুই দলের পক্ষেই আক্রমণে গেছেন। ছোট মাঠ করে হয়েছে আর্জেন্টিনার অনুশীলন। ১৬ জুন আইসল্যান্ডের বিপক্ষে কে হবেন আর্জেন্টিনার শেষ প্রহরী তার একটা ইঙ্গিত মিললো। কাভালেরোই থাকছেন পোস্টের নিচে সেটা প্র্যাকটিস দেখেই বুঝা গেল। অনুশীলনে বেশ সিরিয়াস ডি মারিয়া ও হিগুয়েন। একই সাথে সর্বশেষ দলে ডাক পাওয়া এনজো পেরেজও।
আর্জেন্টিনা দলকে সকালেই অনুশীলনে ব্যস্ত রাখছেন কোচ সাম্পাওলি। বিকেলে তাদের অন্য কাজ।
কোনো মতে রাশিয়ার টিকিট পেয়েছে আর্জেন্টিনা। তা মেসির কল্যাণে। তবে এখন দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরাই এবারের অন্যতম ফেবারিট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা