২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার মিসাইল হামলা, জাপোরিশা পরমাণুকেন্দ্র নিয়ে উদ্বেগ

রুশ হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে - ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়া আবারো ব্যাপক মিসাইল হামলা চালিয়েছে, যাতে দেশটির বিভিন্ন অংশে বাড়িঘর ও জ্বালানি অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সমন্বিত মিসাইল হামলা।

ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার বর্ষপূর্তির দু’সপ্তাহ পর এই হামলা চালানো হলো।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, রাশিয়া ৯০টির মতো মিসাইল ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে ড্রোনের সংখ্যা আটটি এবং চারটি ড্রোন ইরানের তৈরি।

দেশটির ২৭টি অঞ্চলের অন্তত ১০টিতে বুধবার রাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে এসব আক্রমণ চালানো হয়।

রাশিয়ার ছোড়া এসব মিসাইল ও ড্রোনের ৩৪টিকে গুলি করে আকাশেই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে বলে ইউক্রেন দাবি করছে।

‘কদর্য কৌশল’
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সর্বশেষ এই হামলাকে মস্কোর ‘কদর্য কৌশল’ বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জনগণকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার জন্য শত্রুরা ৮১টি মিসাইল ছুড়ে তারা তাদের কদর্য কৌশলে ফিরে গেছে।’

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলছেন, ‘এই হামলার পেছনে কোনো সামরিক উদ্দেশ্য নেই। এটা রাশিয়ার বর্বরতা।’

জাপোরিশা পরমাণুকেন্দ্রে বিদ্যুৎ নেই
এই হামলার ফলে ইউরোপের সর্ববৃহৎ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিশায় বিদ্যুৎ নেই। বিভিন্ন শহরেও বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসঙ্ঘের পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি।

তিনি বলেছেন, কেন্দ্রটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে এখনই পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো, আমি আবারও বলছি ষষ্ঠবার এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেল। আপনাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি, ইউরোপে এটাই সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র। আমরা কী করছি? আমরা কিভাবে এখানে বসে আছি এবং ঘটনা ঘটতে দিচ্ছি? এভাবে তো চলতে পারে না।’

গ্রোসি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘এমন যদি আমরা বারবার হতে দেই, ভাগ্য হয়তো এক সময় ফুরিয়ে যাবে।’

কর্মকর্তারা বলছেন, জাপোরিশা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন ডিজেল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এই কেন্দ্রে যে পরিমাণ ডিজেল মজুদ আছে, তা দিয়ে আরো ১০ দিন চলতে পারে।

ইউক্রেনের জাপোরিশা অঞ্চলের কিছু অংশ এখন মস্কোর নিয়ন্ত্রণে। এই অঞ্চলে রাশিয়ার নিযুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেন সেখানে বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

এই ঘটনাকে তারা ‘উস্কানিমূলক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

রাজধানীসহ বড় বড় শহরে বিদ্যুৎ সঙ্কট
রাজধানী কিয়েভ, উত্তরের খারকিভ ও দক্ষিণের ওডেসার মতো বড় বড় শহরেরও অনেক জায়গায় এখন বিদ্যুৎ নেই।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো বলছেন, তার শহরের ৪০ ভাগ বাসিন্দাদের বাড়িতে এখন হিটিং নেই।

কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের জন্য জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে মেরামতের কাজ চলছে।

কিয়েভের বাসিন্দারা বলছেন যে বুধবার রাতে তারা সাত ঘণ্টা ধরে বিমান হামলার সতর্ক সঙ্কেত শুনেছেন।

রাজধানী উপকণ্ঠে স্বামী ও তিন মাস বয়সী শিশু এবং তাদের বাবা মা ও দাদা দাদিকে নিয়ে থাকেন ইরিনা নেমিরোভিচ। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছি। কিন্তু আমরা জানি না, এগুলো কি বিমান বিধ্বংসী সিস্টেমের না কি মিসাইলের আঘাতের। কিন্তু খুব জোরে জোরে বিস্ফোরণ হচ্ছিল।’

অন্তত নয়জন নিহত
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে বলা হচ্ছে, এসব হামলায় কমপক্ষে নয়জন প্রাণ হারিয়েছেন।

পশ্চিমাঞ্চলীয় লাভিভে মিসাইলের আঘাতে বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে যে সেখানে আরো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, খেরসন ও দিনিপ্রপেত্রোভস্ক শহরেও রাশিয়ার গোলাবর্ষণে আরো তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত

সকল