২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইউক্রেন যুদ্ধের বৃহত্তর ঝুঁকি নিয়ে দুশ্চিন্তা

ইউক্রেন যুদ্ধের বৃহত্তর ঝুঁকি নিয়ে দুশ্চিন্তা। - ছবি : সংগৃহীত

পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের জন্য রাশিয়াকে আপাতত সরাসরি দায়ী করা না হলেও ইউক্রেন সঙ্কটের ঝুঁকি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের জন্য যে রাশিয়া সরাসরি দায়ী নয়, সেই বাস্তব সামনে আসতে আপাতত উত্তেজনা কিছুটা কমেছে। গোটা দেশজুড়ে রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেন যে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গড়ে তুলেছে, সেই কাঠামোর এক ক্ষেপণাস্ত্রই পোল্যান্ডে অঘটন ঘটিয়েছে বলে আপাতত জানা গেছে। পুরানো সেই এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই পক্ষই ব্যবহার করে বলে সহজে সংশয় কাটছে না।

তবে ঘটনাস্থলে তদন্তের কাজে ইউক্রেনও অংশ নিতে চায়। কারণ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলোনস্কি এখনো ক্ষেপণাস্ত্রের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিন্ত নন। ন্যাটোর রাষ্ট্রদূতরা ব্রাসেলসে এক জরুরি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরু করার জন্য সার্বিকভাবে রাশিয়াকেই দায়ী করেছেন।

জাতিসঙ্ঘও পোল্যান্ডের ঘটনার জের ধরে বাড়তি উত্তেজনা সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে। নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে জাতিসঙ্ঘের রাজনৈতিক ও শান্তিরক্ষা বিষয়ক প্রধান রোজমেরি ডিকার্লো বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনা বাড়তি উত্তেজনা এড়ানোর প্রয়োজনীয়তা আরো স্পষ্ট করে দিচ্ছে।

তার মতে, যুদ্ধ অবসানের কোনো চিহ্ন এখনো দেখা যাচ্ছে না। ফলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ও তার মারাত্মক পরিণতির ঝুঁকি অত্যন্ত বাস্তব। জাতিসঙ্ঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার‘অপ্রয়োজনীয়' হামলা ও সম্প্রতি সে দেশের অবকাঠামোর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেন।

এদিকে জরুরি অবকাঠামোর ওপর রাশিয়ার সর্বশেষ হামলার কারণে রাজধানী কিয়েভসহ দেশের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি সামলে প্রশাসন আবার পরিষেবা যতটা সম্ভব চালু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত প্রায় নয় মাসের যুদ্ধে রাশিয়া এর আগে একসাথে এত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেনি বলে ইউক্রেন জানিয়েছে।

ইউক্রেনের পূর্বাংশে দখলদারী রুশ বাহিনীর সাথে ইউক্রেনের সৈন্যদের সংঘাতও জারি রয়েছে। দনিয়েৎস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে জোরালো সংঘর্ষের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ওলেক্সি আরেস্তোভিচ। খেরসন শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও রুশ বাহিনী দনিয়েৎস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে বলে ইউক্রেনের বাহিনী মনে করছে। এর আগে খারকিভসহ যে সব এলাকা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল, সেগুলি পুনর্দখলেরও চেষ্টা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।

মার্কিন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলের মতে, ব্যর্থতা সত্ত্বেও এখনো ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর যথেষ্ট সামরিক শক্তি থাকায় অদূর ভবিষ্যতে তাদের পুরোপুরি পরাজিত করার সম্ভাবনা কম।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement

সকল