আগামী রোববার ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডে একটি গণভোট আয়োজন করা হয়েছে। গণভোটের বিষয়টি অদ্ভুদ- গরুর শিং রাখা যাবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে দেশটির ভোটাররা।
সুইজারল্যান্ডের নিয়ম অনুযায়ী দেশটির কৃষকদের গরুগুলোর শিং রাখতে পারবে না। অল্প বয়সেই গরুর শিং কেটে ফেলা বা এমনভাবে নষ্ট করে দেয়া হয় যাতে সেগুলো আর বড় হতে না পারে। এর পক্ষে যুক্তি হলো- শিং থাকলে গরুগুলো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, ফলে মানুষকে যেমন আহত করতে পারে তেমনি একজায়গায় বেশি গরু থাকলে তারা একে অন্যকে আহত করতে পারে। তাছাড়া শিংওয়ালা গরু রাখতে জায়গা বেশি লাগে। এসব চিন্তা করেই সুইজারল্যান্ডে গরুর শিং না রাখার বিধান করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন খামারি তার গরুর শিং বড় রাখলে তিনি সরকারি ভর্তুকি পাবেন না।
কিন্তু গত আট বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন একজন খামারি যার নাম আরমিন কাপাউল। তিনি গরুর শিং রাখার পক্ষে গণভোট আয়োজনের জন্য লক্ষাধিক মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। তার যুক্তি , ‘গরু থেকে আমরা দুধ পাই। এজন্য অবশ্যই তাদের সেবা করা উচিত। গরুর শিং কেটে ফেলাটা কখনোই উচিত নয়। যা তাদের গর্ব। আমি বলবো যদি এটা কেটে ফেলা মানে তাদের সাথে অন্যায় আচরণ করা।’
অবশেষে জয়ী হলেন আরমিন কাপউল। তার আন্দোলনের কারণেই আগামী রোববার দেশটিতে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভোটাররা শিংয়ের পক্ষে রায় দিলে গরুর শিং রাখা বৈধ ঘোষণা করা হবে দেশটিতে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা