১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


সংগ্রাম করেছেন সাদেক বাচ্চু

-

চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদের কাছে সাধারণত দু’টি পরিবারই জীবন চলার পথে প্রায় একই রকম গুরুত্ব পেয়ে থাকে। একটি শিল্পী যে পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন, সেই পরিবার। আরেকটি হলো যে পরিবারে নতুন করে জন্ম নিয়ে দর্শকের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করেন সেই চলচ্চিত্র পরিবার। তাই দু’টি পরিবারের প্রতিই শিল্পীর ভালোবাসা থাকে প্রায় সমানই। নিজের পরিবারের মতোই আগলে রাখেন শিল্পী তার চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যকেও। এই পরিবারের সদস্যের সুখ দুঃখের ভাগীদার হন শিল্পী। চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা সাদেক বাচ্চু মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগের বছর তার বাবা-মাকে হারান। তারপর পাঁচ বোন, তিন ভাই, দাদি, মা, ফুফুকে নিয়ে সংগ্রামী জীবন পার করেছেন সাদেক বাচ্চু। নিজের পরিবারের সবার সুখের কথা বিবেচনা করে তিনি নিজের জীবনের সাফল্যের দিকে মনোযোগ দিতে পারেননি। দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিবারের সবাইকে সুখে রেখেছেন। আবার চলচ্চিত্রে যখন অভিনয় শুরু করেন, তখন শুধু চলচ্চিত্রে অভিনয়ই করে গেছেন। কখনো নায়ক চরিত্রে, কখনো ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি নিজেকে বাংলাদেশের সিনেমার একজন কিংবদন্তি অভিনেতায় নিজেকে পরিণত করেছেন। কিন্তু চলচ্চিত্রে অভিনয়ের দীর্ঘ দিনের পথচলায় গুণী চলচ্চিত্রাভিনেতার ভাগ্যে আজো জুটেনি কোনো চলচ্চিত্র পুরস্কার। কিন্তু এমন পুরস্কার পাওয়ার মতো অভিনয় করেছেন তিনি বহু চলচ্চিত্রে। হয়তো ভাগ্যে নেই বলেই আজো তার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া হয়নি। তবে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পরিস্কারের বিচারের অধীনে জমা পড়েছে সাদেক বাচ্চু অভিনীত দু’টি সিনেমা। একটি বুলবুল বিশ^াসের রাজনীতি এবং অন্যটি আলমগীরের একটি সিনেমার গল্প। দু’টি সিনেমাতেই সাদেক বাচ্চু অসাধারণ অভিনয় করেছেন। ভাগ্য বিধাতা সহায় হলে এই দু’টি সিনেমার একটিতে তিনি তার অভিনয়ের সর্বোচ্চ স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েও যেতে পারেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। একজন অভিনয়শিল্পীর দর্শকের ভালোবাসার পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিটাই জীবনের অন্যতম অলঙ্কার। সাদেক বাচ্চু বলেন, সারাটা জীবনই আমি শ্রমিক শিল্পী হিসেবে অভিনয় করে গেছি। পেয়েছি এ দেশের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা। আমি মনে করি এখনো আমি অভিনয় শেখার চেষ্টায় আছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি অভিনয় শিখতে চাই। দর্শকের ভালোবাসার মাঝে বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে নিবেদিত করেই আজীবন অভিনয় করে গেছি। সাদেক বাচ্চু জানান, তার অভিনীত প্রথম সিনেমা শহীদুল আমিনের রামের সুমতি। এতে তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। তার বিপরীতে ছিলেন নার্গিস। একই পরিচালকের মায়ামৃগ সিনেমাতেও তিনি ফাল্গুনী আহমেদের নায়ক ছিলেন। তবে শহীদুল হক খানের সুখের সন্ধানে সিনেমায় তিনি প্রথম খলনাকের ভূমিকায় অভিনয় করেন। বর্তমানে তিনি উত্তম আকাশের প্রেম চোর সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত।


আরো সংবাদ



premium cement
দাগনভূঞায় অগ্নিদগ্ধ পরিবারের মাঝে জামায়াতের উদ্যোগে গৃহ নির্মাণ উদ্বোধন ২৫ মে বঙ্গবাজার বিপণিবিতান নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী এখনো নিখোঁজ প্রেসিডেন্ট রাইসি : অনুসন্ধানে ৪০ দল ৫ দফা দাবিতে সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্মারকলিপি গাজীপুরে কারখানার ছাদ থেকে পড়ে পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করুন : বাইডেনকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বগুড়ায় তীব্র লোড শেডিং, ২২ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ গণ-অর্থায়নের মাধ্যমে যেভাবে এভারেস্টের চূড়ায় বাবর আলী ৩২ দিনে ৮ বার বাড়ল স্বর্ণের দাম ইরানি প্রেসিডেন্ট ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন না! সফলতার সাথে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি : মেয়র তাপস

সকল