১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


ম খা আলমগীর, নাজমুল হুদার মনোনয়ন বৈধ হলে খালেদা জিয়ার কেন নয়?

ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও মহিউদ্দিন খান আলমগীর। - ছবি: সংগৃহীত

আইনগতভাবে বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন করতে কোনো বাধা না থাকলেও গভীর চক্রান্ত ও মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবেই গতকাল নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী বলেন, সিইসির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন অনেক দণ্ডপ্রাপ্ত লোকের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন, যেমন ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পংকজ দেবনাথ, হাজী সেলিম, মহিউদ্দিন খান আলমগীর (ম খা আলমগীর) এবং নাজমুল হুদাসহ অনেকেরই মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেছে ইসি। তাহলে বেগম জিয়ারটা নয় কেনো? নয় এজন্য যে, বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন অবৈধ করতে সিইসির প্রতি শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিল। আইনসম্মত ভাবেই বেগম খালেদা জিয়া মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য।

রিজভী আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বেগম জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন- যা সম্পূর্ণ ভাবে হাস্যকর। বেগম জিয়া তো কারাগারে, তাহলে তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেন কিভাবে? রিটার্নিং কর্মকর্তার সিংহ আর হরিণ শাবকের পানি ঘোলা করার ঈশপের গল্পের মতো আদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানীর রায়ে গোটা দেশবাসী আশা করেছিল ন্যায়বিচার পাবেন তাদের নেত্রী। কিন্তু কি ভয়াবহ দলদাসত্ব দেখালেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও তার কয়েকজন কমিশনার। সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে কে এম নুরুল হুদাসহ কয়েকজন কমিশনার আপিলে বেগম জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। এই ঘটনায় জাতীয় নির্বাচনী পরিবেশ আওয়ামী দাপটে এখন মিথ্যা জয়ের ফলাফলের স্পষ্ট আভাস বিধৃত হলো। নির্বাচন কমিশন মুখোশের শেষ সুতোটুকু ছুঁড়ে আওয়ামী স্বার্থের মেশিন হিসেবে স্বীয় মহিমায় উদ্ভাসিত হলো। মোদ্দা কথা এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, যা হচ্ছে তা শুধুমাত্র জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার জন্যই। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন ছিনিমিনি খেলছে। সরকারের হুকুমের বাইরে ইসি কোনো কাজ করছে না।


আরো সংবাদ



premium cement