সরকারি সাত কলেজ অধিভুক্তি বাতিলে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন, কলাভবন, ব্যবসায় অনুষদ, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ, আইএমএলের প্রধান ফটক, কার্জন হল, আই ভবন, লেকচার থিয়েটারে ঝুলছে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের দেয়া তালা। পরে ওসব তালা ভেঙে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করে ছাত্রলীগ।
আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের দাবি একটাই। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভগের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অবকাঠামো তা নিজেদের শিক্ষাথীদের সেবা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে বাড়তি আরো আড়াই লাখের মতো শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নেয়াতে তারাও ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে না, আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে। কোনো রকম পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই এ সিদ্ধান্ত নেয়ায় সাত কলেকে বিলম্বে ফল প্রকাশ ও ফলাফল বিপর্যয়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘাড় থেকে এই বোঝা নামাতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
আন্দোলনের মুখপাত্র শাকিল বলেন, আমরা ক্লাস ও সব ধরণের পরীক্ষা বর্জন করছি। সকল প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষার্থীর। যতদিন পর্যন্ত ভিসি স্যার অধিভুক্তি বাতিলের লিখিত কোনো সিদ্ধান্ত না দিবেন ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, অপরাজেয় বাংলায় এক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তারা চলমান সংকট নিরসন চেয়ে বিকেলে ঢাবি ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দেন।
ঢাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। চলমান সংকট সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়কেই এগিয়ে আসতে হবে। একই দাবিতে আগামী বিক্ষোব কমসূচির ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা