বহিরাগত ছাত্রীদের এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিয়ে মানববন্ধনে হাজির করার অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জড়োসড়ো অবস্থায় এক ছাত্রী নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন। কিন্তু হলের কত নম্বর কক্ষে থাকেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা ইডেন কলেজের ছাত্রী। আপুরা ডেকেছে, তাই ঢাবিতে আসছি।’ এসময় তার নাম ও বিভাগ জানতে চাইলে পাশে থাকা অন্য ছাত্রীরা তাকে বলতে দেননি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন ইডেন মহিলা কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীরা। এ সময় তাদের সাথে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীদেরও দেখা যায়।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন মেয়ের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, তারা গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ছাত্রী। মানববন্ধনে কেন জানতে চাইলে তারা বলেন, ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে শুনে বড় আপুরা আমাদের এখানে পাঠিয়েছে। তারাও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা চান না। কি ধরেনের অস্থিতিশীলতা জানতে চাইলে তারা কিছু বলেননি।
মানবন্ধনে অংশ নেয়াদের মধ্যে একজনের নাম ফারিন তাসফা সাফা। তিনি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিকে, মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কারের নামে কিছু শিক্ষার্থী অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের আন্দোলনে এখন সাধারণ শিক্ষার্থী নেই। এজন্য তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
আরো পড়ুন :
ঢাবিতে নিজেদের হামলার বিচার চায় ছাত্রলীগ!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার চেয়েছে ছাত্রলীগ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিচার দাবি করেন কেন্দ্রীয় কমিটির স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন।
আপনি বিচার চান কি না- প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অবশ্যই বিচার চাই হামলার বিচার হোক, তবে ক্যাম্পাসে কেউ যদি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।’
অভিযোগ আছে যে, গত শনি ও রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার নেতৃত্ব ছিলেন জয়নুল আবেদীন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাত্রলীগের হামলার যে ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে ছাত্রলীগের এই নেতাকে দেখা গেছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু, উপ-দফতর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের। এছাড়া বিভন্ন হলের সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাংলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপ আইনবিষয়ক সম্পাদক মো: জিহাদকে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা