একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
- ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
দৈনিক নয়া দিগন্তের উজিরপুর (বরিশাল) সংবাদদাতা জানান, প্রতিনিয়ত সরকারি চাকরির আশ্বাস পাচ্ছিলেন। একের পর এক সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন বিভিন্ন অফিসে। চাকরি নামের সোনার হরিণ তার কাছে ধরা দেয়নি। মাত্র ১৪০০ টাকা নিয়ে নেমে পড়েন উজিরপুর উপজেলার উচ্চশিক্ষিত মাহবুব ইসলাম বাদল। শুরু করেন নার্সারির ব্যবসায়। নাম দেন ‘সরদার নার্সারি।’ নার্সারিই ভাগ্য বদলে দেয় বাদলের। ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করেন। নার্সারির আয়তন বেড়ে হয়েছে প্রায় পাঁচ একর। খরচ বাদে গড়ে মাসে আয় ৫০ হাজার টাকা।
স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার পূর্ব মুণ্ডুপাশা গ্রামের বাদলের ‘সরদার নার্সারি’টি জেলা ও উপজেলায় বেশ জনপ্রিয়। ফলদ, বনজ, ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সব ধরনের চারাই আছে তার নার্সারিতে। পূর্ব মুণ্ডুপাশা মৌজায় চারা উৎপাদনের খামারও গড়েছেন তিনি। বন্যায় কয়েক দফা ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পরও নার্সারি করে সফল ও স্বাবলম্বী হয়েছেন।
১৯৯৬ সালে এসএসসি পাসের পর স্বল্প পরিসরে নার্সারি শুরু করেছিলেন; কিন্তু নার্সারিতে নজর দেননি তখন। ২০০১ সালে ডিগ্রি পাস করার পর বিভিন্ন জায়গায় সোনার হরিণ চাকরির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে যখন ক্লান্ত, তখন নার্সারি ব্যবসার দিকে নজর দেন। এ সময়ে আঙিনায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করে বিক্রি করতে শুরু করেন। তখন পুঁজি হিসেবে বিনিয়োগ করেন ১৪০০ টাকা। প্রথমে তিনি মেহগনি-একাশিয়া ও আমগাছের চারা রোপণ করেন। কয়েক বছরের মধ্যে গাছের মান ভালো হওয়ায় অনেকেই আসেন নার্সারি দেখতে। একসময় আয়ের উৎস হয় এই নার্সারি। সফলতায় নার্সারির প্রতি আগ্রহ জন্মাতে থাকে।
এরপর পূর্ব মুণ্ডুপাশা গ্রামে ৪০ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা নিয়ে গড়ে তোলেন ‘বাদল নার্সারি’। ২০০৭ সালের সিডরে ব্যাপক ক্ষতি হয় নার্সারিতে। বেশির ভাগ গাছ ভেঙে মাটির সাথে মিশে যায়। সব শূন্য হয়ে যায়। স্বপ্ন দেখেন নতুন নার্সারির। পূর্ব মুণ্ডুপাশা গ্রামে চার থেকে পাঁচ একর জমিতে চারা-কলমের গাছ রয়েছে সরদার নার্সারিতে। নার্সারিতে রামবুটান, এভোকাডো, পিচ, আপেল, আঙুর, ক্রিসমাস ট্রি, অর্জুন, আমলকী, হরীতকী, বহেরা, নিম, জয়তুন, পাথরকুচি, বেলজিয়াম, মেহগনি, সেগুন, রেইনট্রি, কৃষ্ণচূড়া, এটোলিয়াম, নাইটকুইন, অ্যারোমেটিক জুঁই, তেজপাতা, দারুচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ, এলাচি, ক্যাকটাস, ছাকুল্যাটম, পাতাবাহার, এলোভেরিয়া, করবীসহ হরেকরকম ফলদ, বনজ, ঔষধি ও ফুলের চারা উৎপাদন-বিপণন হচ্ছে। উজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কপিল বিশ্বাস বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সরদার নার্সারি বাগান দেখভাল করা হচ্ছে। পাশাপাশি রোগবালাই, সার ব্যবস্থাপনাসহ পরিচর্যার বিষয়ে ওই কৃষককে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা