১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


বাজার থেকে ৫২ পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ

জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনো ছাড় নয়

-

জীবনধারণের জন্য মানুষের শুধু খাবার হলেই চলে না, চাই স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ খাদ্য। তা না হলে জনস্বাস্থ্য পড়ে ঝুঁকিতে। নিরাপদ খাদ্য পাওয়া মানুষ মাত্রেরই মৌলিক অধিকার। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এর ওপরই নির্ভর করে দেশের জনস্বাস্থ্যের ভালো-মন্দ। দেশে দেশে তাই নাগরিকদের নিরাপদ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়। কারণ, শরীরিকভাবে সুস্থ ও সক্ষম জাতি গঠনে এর বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হয় না।
কোনো দেশের বেশির ভাগ নাগরিক শারীরিকভাবে সুস্থ ও সক্ষম না হলে সে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু আমাদের দেশে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লোভে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বাজারজাত করে থাকেন। দেশে নকল, নি¤œমান ও ভেজাল খাদ্যসামগ্রী বাজারজাতের এ প্রবণতা বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে জনস্বাস্থ্য পড়েছে চরম ঝুঁকিতে। ভেজাল খাবার খেয়ে মানুষ ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন দুরারোগ্য ব্যাধিতে। এতে করে তাদের চিকিৎসাব্যয়ও গেছে বেড়ে।
এমন প্রেক্ষাপটে খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনে যুদ্ধ ঘোষণা করতে বলেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, খাদ্যে ভেজাল রোধের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েই কাজে নামা উচিত। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যে পরিস্থিতি দেখছি তাতে এ দেশে থাকাই অনিরাপদ হয়ে গেছে। আমাদের যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই, তাদের এ দেশেই থাকতে হবে। তাই এ রকম অবস্থায় হাইকোর্ট চুপ থাকতে পারেন না। রাস্তায় বেরুলে কারো না কারো হাতে মেডিক্যালের ফাইলপত্র দেখা যায়।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভেজাল ও নিম্নমানের ৫২টি পণ্য বাজার থেকে সরাতে গত রোববার নির্দেশ দেয়ার আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে উল্লিখিত মন্তব্য করেন। ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’র (সিসিএস) করা এক রিট আবেদনে এমন আদেশ দেয়া হয়। আমরা মনে করি, হাইকোর্টের এই আদেশ জনস্বাস্থের জন্য অতীব গুরুত্বগূর্ণ। আদালতের এ আদেশে জন-আকাক্সক্ষার প্রতিফল ঘটেছে।
আমরা মনে করি, খাদ্যে ভেজাল রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা শুধু একজন কর্মকর্তা হিসেবে নন, একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করলে আজ এমন অবস্থার সৃষ্টি হতো না । খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে আনতে শুধু বিশেষ বিশেষ সময়ে অভিযান জোরদার করলেই হবে না; সারা বছরই খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা উচিত।
বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আদালতকে নিশ্চিত করেছে, ভেজাল ও নিম্নমানের ৫২টি পণ্য এখনো বাজারে রয়েছে। বিএসটিআই’র পরীক্ষায় প্রমাণিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভেজাল ও নিম্নমানের ৫২টি পণ্য অবিলম্বে বাজার থেকে সরাতে সরকার উদ্যোগ নেবে বলে দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে। এই জনপ্রত্যাশা পূরণে সময়ক্ষেপণ না করে সরকার আন্তরিকতার পরিচয় দেবে। একই সাখে পুনরায় পরীক্ষায় মান উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে ওই সব পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে আদালতের নির্দেশও বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণ তখনই ঘটবে, যখন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরি জীবন দিয়ে দেশবিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : বাহাউদ্দিন নাছিম পাটকলগুলো নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছে সরকার ধনবাড়ীতে পুলিশ পিটিয়ে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়েছে আসামি যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক? ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডুসেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সাফল্য পেয়েছে : আইজিপি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে : রেলপথমন্ত্রী বাংলাদেশের আসছেন ‘ওসমান বে’ ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি মেলার পর বিশ্বকাপে খেলার অনুমতি পেলেন লামিচানে গাজীপুরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু

সকল