১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


চালের দাম বাড়ছে কেন?

এখনই লাগাম টেনে ধরুন

-

বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত। এর উৎস যে চাল, তার দাম কেবলই বাড়ছে। নবনিযুক্ত খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘চালের মূল্যবৃদ্ধির কোনো কারণ নেই।’ কিন্তু মন্ত্রীর বক্তব্যের তোয়াক্কা না করে চালের দাম বাজারে আরো বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। অপর দিকে, বিশেষ করে নি¤œ ও মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
একটি দৈনিকের খবরে জানানো হয়, এবার জাতীয় নির্বাচনের পর চালকল মালিকেরা এবং এর জের ধরে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বাজারে চালের বিক্রিমূল্য বৃদ্ধি করেছেন। জানা গেছে, চালকলের মালিকদের অনেকে নতুন দর অনুযায়ী ধান না কেনা সত্ত্বেও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। জানা গেছে, চালকল মালিকেরা ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের পরপরই চাল সরবরাহে বিঘœ ঘটার অজুহাত তুলে ৫০ কেজি চালের বস্তার দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কৃষি বিপণন বিভাগ জানিয়েছে, ১০ জানুয়ারির পর মাত্র তিন দিনে চিকন চালের দাম বেড়ে কেজিপ্রতি প্রায় ৫৩ টাকা হয়েছে। মাঝারি মানের চালের দাম বেড়ে ৪২ থেকে ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা চালের দাম উঠেছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকায়। অথচ এর ঠিক আগে নতুন খাদ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, ‘চালের দাম আর বাড়বে না।’
তিন বছর ধরে দেশে ধানের উৎপাদন সন্তোষজনক এবং সরকারি গুদামগুলোতে চালের মজুদ রয়েছে ১১ লাখ ৭৯ হাজার টন। তবুও চালের দাম কেন বাড়ছে, রাজধানী ঢাকায় অনেক ব্যবসায়ী আগের কেনা চালও বেশি দামে বিক্রি করছেন। আমন ধানের বাম্পার ফলনের পরও ছুতানাতায় চালের দাম বাড়ানো অস্বাভাবিক বলে সচেতন ব্যবসায়ীরা মনে করেন।
কয়েকটি চালকলের স্বত্বাধিকারী এমন একটি শিল্প গ্রুপের মালিক জানান, ‘এবার সংসদ নির্বাচনের আগে চালকল মালিকেরা ধান কিনতে আগ্রহ দেখাননি। তবে নির্বাচনের পর পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাই ধান কেনা শুরু করেন। ফলে অধিক চাহিদার চাপে ধানের দাম অনেক বেড়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘অভিজাত’ মিনিকেট চালের দাম বাড়ার কারণ হলো, এর মজুদ হ্রাস পেয়েছে। নওগাঁর ধান-চাল আড়তদারদের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের পর চাল সরবরাহের সমস্যা আর নেই এবং বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবুও চাল ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কোনো কারণ নেই।’ ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমানের মতে, সরকার কর্তৃক আমন ধান সংগ্রহের প্রভাবে ধানের চাহিদা বাড়তে পারে।
প্রধান খাদ্যশস্যের দাম বাড়ালে কোটি কোটি সাধারণ মানুষ বিরাট দুর্ভোগের শিকার হয়ে থাকে। তাই চালের দাম বাড়ার প্রবণতা রোধই শুধু নয়, চালের বাজারদর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য এ মুহূর্তেই জরুরি পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এটা সরকারের একটা বড় দায়িত্ব।
জনগণ প্রত্যাশা করে, চালের বাজারে যাতে মজুদদার, মুনাফাখোর ও কালোবাজারিদের কোনো সিন্ডিকেট তৎপর হতে না পারে এবং চালের দাম থাকে সহনীয় মাত্রায়, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। চালের দাম বাড়ানোর হোতাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া অপরিহার্য।


আরো সংবাদ



premium cement
বেনাপোল বন্দরে টানা ৫ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকের ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা কুমিল্লায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৫ গাইবান্ধা শহরে চুরি পট্টিতে আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই আরব লিগের প্রতি হামাসের আহ্বান গাজায় যুদ্ধবিরতির আদেশ দিতে জাতিসঙ্ঘ শীর্ষ আদালতের প্রতি দ. আফ্রিকার আহ্বান দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল স্মার্ট চশমায় ‘বিপ্লব’ আনছে গুগল! বৃষ্টিতে ভণ্ডুল ম্যাচ, প্লেঅফে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যুক্তরাষ্ট্রের পর ব্রিটেনেও ভারতীয় ‘বিষাক্ত’ ভারতীয় মশলার বিরুদ্ধে কড়াকড়ি গাজায় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান আরব লিগের

সকল