১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সব ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ

দুর্নীতির এক বড় উদাহরণ

-

দুর্নীতি বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে চরম রূপ নিয়েছে। সময়ের সাথে জাতীয় জীবনে দুর্নীতির তাপ-উত্তাপের পারদ মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই তাপ-উত্তাপের প্রকোপ কতটুকু তা কিছুটা হলেও আন্দাজ-অনুমান করা যায় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের একটি ঘটনা থেকে। অবাক হওয়ার মতো কাণ্ড, শুধু দুর্নীতির কারণে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সব শিল্পকারখানা একে একে বন্ধ হয়ে গেছে।
খবরে প্রকাশ, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ২০টি শিল্পকারখানার সব লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। এর পেছনে কারণ দুর্নীতি, অদক্ষতা ও সরকারের ভুল নীতি অবলম্বন। এসব কারণে এই কারখানাগুলো রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়। গত আগস্টে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মিমি চকোলেটের ঢাকা কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। আর অক্টোবরে একই ভাগ্য বরণ করে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ। আর আরো ১৮টি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যায় ১৯৮৩ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যবর্তী সময়ে।
দুর্নীতি ও অদক্ষতার কারণে ইস্টার্ন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ বছরে লোকসান দিচ্ছে এক কোটি ৫৬ লাখ টাকাÑ এ তথ্য জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: ইফতেখারুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, একই কারণে মিমি চকোলেটকে প্রতি বছর লোকসান গুনতে হয় ৭২ লাখ টাকা। ফলে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এই কল্যাণ ট্রাস্ট যখন বাজারে আসে তখন দেশে শিল্পকারখানার স্থান ছিল অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু কিছু কর্মকর্তা ট্রাস্টের দোকানগুলো লিজ দিয়ে তাদের পকেট ভর্তি করেছেন।
অর্থনীতিবিদ, জ্যেষ্ঠ নাগরিক এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশের কোনো সরকারই এ ব্যাপারে মনোযোগ দেয়নি। কারখানাগুলোর উন্নয়নে নেয়া হয়নি কার্যকর পদক্ষেপ। দুর্নীতি চলেছে অবাধে। ফলে এসব শিল্পকারখানা লাভজনক করে তোলা যায়নি। যদিও সমূহ সম্ভাবনা ছিল এসব শিল্পকারখানা লাভজনক করে তুলে লভ্যাংশের অর্থে মুক্তযোদ্ধা পরিবারগুলোকে আর্থিকভাবে সহায়তা বাড়ানোর। কিন্তু দুর্নীতি আর অদক্ষতা সে সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এতে উল্টো এসব কারখানা পরিণত হয়েছে লোকসানি শিল্পকারখানায়। এটি সত্যিই অবাক করার ব্যাপার, তাবানি বেভারেজ কোম্পানি উৎপাদন করে জনপ্রিয় পানীয় ‘কোকা-কোলা’র। এই কোম্পানিও লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মিমি চকোলেটের প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এই শিল্পকারখানাটি লোকসানি কারখানায় পরিণত হয়েছে।
আমরা মনে করি, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এসব কারখানা লোকসানি দেখিয়ে বন্ধ করে দেয়াটা হচ্ছে মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে দেয়ার শামিল। তা না করে এগুলোতে চলা দুর্নীতি বন্ধ ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটিয়ে এগুলোকে লাভজনক করে তোলা যেত। পাশাপাশি সরকার এগুলোর জন্য যথাযথ কার্যকর নীতি অবলম্বন করতে পারত, কিন্তু সরকারে এ ব্যর্থতা সীমাহীন। যারা এই দুর্নীতির জন্য দায়ী তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
আবারো ভারতের নির্বাচন তাপপ্রবাহের মুখে, সতর্ক করল আবহাওয়া ব্যুরো সব বন্দীকে ফিরিয়ে আনব : নেতানিয়াহু বালিয়াডাঙ্গীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু বোরোর ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচ বেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী আত্মরক্ষার অধিকার বৈধতা দেয় না গণহত্যাকে চার বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে আগ্রহী সার্বিয়া ডিমের ডজন ১৫০ ছাড়িয়েছে, নাগালে আসছে না মাছ ও সবজি যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না : মার্কিন উপ-মুখপাত্র শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত

সকল