১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত ঋণ করে চলেছে সরকার

এ প্রবণতা অর্থনৈতিক ভারসাম্য বিনষ্ট করে

-

সামনে নির্বাচন। সরকার চায় নিজ দল-জোটের প্রতি জনদৃষ্টি বাড়িয়ে তুলতে এবং দেখাতে চায় দেশের জন্য তারা প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। এর মাধ্যমে জনগণের দৃষ্টি সরকারি দলের প্রতি অতিমাত্রায় ফেরাতে চায় সরকার। তাই আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সরকার শেষ মুহূর্তে নানামুখী খাতে ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় বেড়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যে হারে ব্যয় করা হচ্ছে, সে হারে আয় হচ্ছে না। ফলে সরকারকে ঋণ করে অর্থ জোগাড়ের পথ বেছে নিতে হচ্ছে। সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়ার পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়াও বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। স্বাভাবিক কারণেই এর ফলে আর্থিক ব্যবস্থাপনা বেশ চাপের মুখে পড়েছে। আর ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়া বেড়ে যাওয়ার ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট তথ্যাভিজ্ঞ জনেরা মনে করছেন, এতে জনজীবনে চাপ বেড়ে যেতে পারে।
আয় বুঝে ব্যয় করা অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার একটি স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু সরকার এ নিয়মের তোয়াক্কা না করায় এর নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে বাধ্য। তথ্য- পরিসংখ্যান থেকে এটুকু স্পষ্ট, সরকার আয় বুঝে ব্যয় করছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সরকারি হিসাবে গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে উদ্বৃত্ত ছিল ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যে কারণে ওই সময় সরকার কোনো ঋণ না নিয়ে বরং আগের ঋণ পরিশোধ করেছে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সরকারের একই হিসাবে অতিরিক্ত কোনো অর্থের সংস্থান নেই। বরং ঘাটতি রয়েছে। আর সরকার এ ঘাটতি পূরণ করছে ঋণের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকারের আয়ের প্রধান দু’টি খাত হলো : রাজস্ব আদায় ও বৈদেশিক অনুদান। এ দু’টি খাতেই ভাটা পড়ে গেছে। রাজস্ব বোর্ডের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আগের অর্থবছরে এই সময়ে এর হার ছিল প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশ। এ থেকে দেখা যায়, সরকারের রাজস্ব আদায় কমে গেছে। অন্য দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুদানও কমে গেছে। গত বছর জুলাই মাসে বৈদেশিক অনুদান এসেছিল ২৬ কোটি ডলার। এবার একই সময়ে এসেছে মাত্র ছয় কোটি ডলার।
আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, সরকারকে অস্বাভাবিক ঋণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে অতিরিক্ত ঋণ নিলে তাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা জনজীবনে চাপ বাড়ায়। বিনিয়োগের সক্ষমতা কমে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের প্রতি ব্যাংকগুলো মুখ ফিরিয়ে নিলে তা সার্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অর্থনৈতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। আশা করি, এসব বিবেচনায় নিয়ে সরকার অতিমাত্রায় ঋণ করার প্রবণতা কমাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় যুদ্ধবিরতির আদেশ দিতে জাতিসঙ্ঘ শীর্ষ আদালতের প্রতি দ. আফ্রিকার আহ্বান দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল স্মার্ট চশমায় ‘বিপ্লব’ আনছে গুগল! বৃষ্টিতে ভণ্ডুল ম্যাচ, প্লেঅফে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যুক্তরাষ্ট্রের পর ব্রিটেনেও ভারতীয় ‘বিষাক্ত’ ভারতীয় মশলার বিরুদ্ধে কড়াকড়ি গাজায় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান আরব লিগের মা দিবস-বাবা দিবসের পাঁচালী ব্যাংক খাতে অব্যবস্থাপনার পরিণাম বাইডেন-ট্রাম্প বিতর্ক জুন ও সেপ্টেম্বরে গাজায় ইসরাইলি ট্যাংকের গোলায় নিজেদের ৫ জন সৈন্য নিহত চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত

সকল