১৫ মে ২০২৪, ০১ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫
`


চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৮৫ টাকা!

ন্যায্য পারিশ্রমিকই তাদের প্রাপ্য

-

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও রফতানি পণ্যগুলোর মধ্যে চা উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। এ দেশে চা বাগান প্রতিষ্ঠার পালা শুরু হয়েছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি, আজ থেকে দেড় শ’ বছরেরও বেশি আগে। অথচ এই শিল্পের শ্রমিকদের অবস্থা বড়ই করুণ। সামান্য মজুরির বিনিময়ে মানবেতর জীবনযাপনে তারা বাধ্য হচ্ছেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম। এবার ২০ মে ‘চা শ্রমিক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে চা বাগানের শ্রমজীবীদের মজুরি দৈনিক ৩০০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে জানানো হয়েছেÑ এখন চালের দাম যখন কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা, তখনো চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি মাত্র ৮৫ টাকা। এ পরিস্থিতিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে শ্রমিকেরা কী নিদারুণ অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
স্মর্তব্য, প্রায় শতবর্ষ আগে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে শোষণ-বঞ্চনা, নির্যাতন-প্রতারণার শিকার হয়ে চা শ্রমিকেরা তাদের মানবিক মর্যাদা ফিরে পেতে ‘নিজ মুল্লুকে প্রত্যাবর্তন’-এর আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯২১ সালের ২০ মে তারা সে উদ্দেশ্যে চাঁদপুর স্টিমার ঘাটে গেলে একপর্যায়ে গোর্খা সৈন্যরা গুলি চালায়। এতে বহু শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন। সেই ট্র্যাজেডির স্মরণে ‘চা শ্রমিক দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। এবার সে দিনটিতে ন্যায্য মজুরি এবং চা বাগানগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনসহ ৭ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
চা শ্রমিকদের স্বল্পমজুরি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, অশিক্ষা-অপুষ্টি-দারিদ্র্য, মৌলিক প্রয়োজন পূরণের ব্যবস্থা না থাকা প্রভৃতি বিষয়ে বহুবার পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়ে থাকে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে কমই। উল্লেখ্য, চা বাগানে কর্মরত মেহনতি মানুষের বেশির ভাগই নারী। এ দিকে, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতে চায়ের চাহিদা বিপুলভাবে বেড়ে চলেছে পানীয় হিসেবে। এ অবস্থায় চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যেমন অপরিহার্য, তেমনি আন্তর্জাতিক বাজারে এর হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে এর গুণগত মান বজায় রাখতে হবে। বাংলাদেশে সিলেট অঞ্চলের কয়েক জেলার ঐতিহ্যবাহী চা বাগান ছাড়াও চট্টগ্রাম অঞ্চলেও চায়ের বাগান রয়েছে। কয়েক বছর আগে উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সম্প্রতি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে গারো পাহাড়সংলগ্ন শেরপুর জেলায় চা উৎপাদনের জন্য।
এ প্রেক্ষাপটে চা শ্রমিকদের মজুরি প্রয়োজনমাফিক বৃদ্ধি করে তাদের জীবনমান উন্নত করা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর স্বার্থেই আবশ্যক। আমরা আশা করি, এই শ্রমিকদের চিকিৎসা, শিক্ষা, আবাসনসহ মৌলিক প্রয়োজন পূরণের পর্যাপ্ত উদ্যোগও নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস আনোয়ার ইবরাহিমের সাবেক এমপি পোটনসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একসাথে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট ও ইস্টার্ন ব্যাংক গাজা যুদ্ধের অবসান চায় অধিকাংশ ব্রিটিশ সফল মানুষ হতে চায় নাটোরের চা দোকানির শিশির আরাফাত ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন : জাতিসঙ্ঘকে প্রধানমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর সিনিয়র ফিল্ড কমান্ডার নিহত ইবনে সিনায় চাকরির সুযোগ ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ : কাদের তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত : মির্জা ফখরুল

সকল