ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে আগামী মাসে। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেভাবে অনিয়ম ও ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটেছে তাতে আগামী নির্বাচনগুলো কতটা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন কমিশন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেছে। নয়া দিগন্তের খবরে বলা হয়েছে, এই কমিটি তদন্ত করে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। ভোটকেন্দ্রের ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, পুলিশ, আনসার ও বিভিন্ন প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের সাথে কথা বলে তারা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। একইভাবে এই কমিটি পুলিশের কাছ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পায়নি বলে খবরে বলা হয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেয়ার যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে পুলিশ সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তার বদলি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হয়েছিল। তখন নির্বাচন কমিশন তাতে সাড়া দেয়নি। সে সময় গণমাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে যেসব খবর প্রকাশ হয়েছে তা যদি আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিত তাহলেও খুলনায় সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হতো। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত ভূমিকার কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। এর পরও নির্বাচন কমিশন তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেছে এবং তদন্ত হয়েছে, সে জন্য সাধুবাদ পেতে পারে।
কিন্তু এই তদন্তের আলোকে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা দেখার বিষয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশন নিজেরা আরেক দফা বির্তকের মধ্যে পড়েছে। সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। যা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগের পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় আরো বাড়ছে। এখন খুলনা সিটি করেপারেশন নির্বাচনে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পর দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে কি না তা দেখার বিষয়। বিশেষ করে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা