২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৬ বছরের মধ্যে দেশের রিজার্ভ সর্বনিম্ন

৬ বছরের মধ্যে দেশের রিজার্ভ সর্বনিম্ন । - ছবি : সংগৃহীত

গত ছয় বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে। ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সবচেয়ে বেশি ছিল। ওই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পর রিজার্ভ কমতে শুরু করে। এ সময় সরকারের ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি দায় মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিয়ত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে।

অন্যদিকে ডলারের দামও বাড়তে শুরু করে। দীর্ঘদিন ডলার ৮৫ টাকায় স্থিতিশীল থাকলেও এখন তা ১০৮ টাকায় উঠেছে। অবশ্য আমদানিতে প্রতি ডলারের জন্য দিতে হচ্ছে গড়ে ১০৫ টাকা।

গতকাল বুধবার (৮ মার্চ) রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। ঠিক এক বছর আগে একই সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার। গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) কাছে দায় হিসেবে রিজার্ভ থেকে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। এর ফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। এশিয়ার নয়টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রফতানি হয়, আকুর মাধ্যমে দুই মাস পরপর তা নিষ্পত্তি হয়।

আকু হচ্ছে আন্তদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা । যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, ভারত, ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে লেনদেনের দায় পরিশোধ হয়ে থাকে। তবে, শ্রীলঙ্কার অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় গত অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটি। প্রতি দুই মাস অন্তর নিজেদের মধ্যকার দায় নিষ্পত্তি করা হয়।

ডলারের ওপর চাপ কমাতে ঋণপত্র খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়াও শতাধিক পণ্যে বাড়তি শুল্ক বসায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এতে ঋণপত্র খোলার হার কমেছে। তবে আমদানি দায় পরিশোধ কমেনি। কারণ, আগের ঋণপত্র এখন নিষ্পত্তি হচ্ছে। আবার বিদেশী ঋণ পরিশোধের চাপও রয়েছে।

গত বছর ২০২২ সালে রিজার্ভ থেকে ১২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে রিজার্ভের পরিমাণ বেশ দ্রুত কমছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক মোট রিজার্ভ হিসাবে ৩১ বিলিয়ন ডলার দেখালেও প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ আরো কম-২৩ বিলিয়ন ডলার। কারণ, রিজার্ভ থেকে এরই মধ্যে আট বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল