০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আন্দোলনের পর গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বাড়লো ১৫ থেকে ৭৮৬ টাকা!

মজুরি বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা - ছবি: বিবিসি

ন্যূনতম মজুরির দাবিতে টানা শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বশেষ মজুরি কাঠামোর ছয়টি গ্রেড সংশোধন করে মোট বেতন ১৫ টাকা থেকে ৭৮৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার।

রোববার শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গার্মেন্টস মালিক-শ্রমিক ও প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ত্রিপক্ষীয় কমিটির বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এই সিদ্ধান্ত জানান।

তিনি বলেন, প্রথম গ্রেডের একজন কর্মী সব মিলিয়ে ১৮ হাজার ২৫৭ টাকা বেতন পাবেন। ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে এই গ্রেডের মজুরি ছিল ১৩ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে নতুন মজুরি কাঠামোর গেজেটে তা ১৭ হাজার ৫১০ টাকা করা হয়েছিল।

দ্বিতীয় গ্রেডের সর্বমোট বেতন ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪১৬ টাকা। ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে এই গ্রেডের বেতন ১০ হাজার ৯০০ টাকা এবং ২০১৮ সালের গেজেটে তা ১৪ হাজার ৬৩০ টাকা করা হয়েছিল।

ততীয় গ্রেডের সর্বমোট বেতন ঠিক হয়েছে ৯ হাজার ৮৪৫ টাকা, যা ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে ৬ হাজার ৮০৫ টাকা এবং ২০১৮ সালের গেজেটে ৯ হাজার ৫৯০ টাকা করা হয়েছিল।

চতুর্থ গ্রেডের সর্বমোট বেতন ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৩৪৭ টাকা। ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে এই গ্রেডের বেতন ৬ হাজার ৪২০ টাকা ছিল। ২০১৮ সালের নতুন কাঠামোর করা হয়েছিল ৯ হাজার ২৪৫ টাকা।

পঞ্চম গ্রেডে সর্বমোট বেতন ঠিক হয়েছে ৮ হাজার ৮৭৫ টাকা, যা ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে ৬ হাজার ৪২ টাকা এবং ২০১৮ সালের গেজেটে ৮ হাজার ৮৭৫ টাকা ছিল।

ষষ্ঠ গ্রেডেও মাত্র ১৫ টাকা বাড়িয়ে সর্বমোট বেতন ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২০ টাকা। ২০১৮ সালে মজুরি কাঠামোর গেজেটে এটা করা হয়েছিল ৮ হাজার ৪০৫ টাকা। আর ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে ছিল ৫ হাজার ৬৭৮ টাকা।

সপ্তম গ্রেডের মজুরি সব মিলিয়ে আট হাজার টাকাই রাখা হয়েছে। ২০১৩ সালের কাঠামোতে সর্বনিম্ন গ্রেডের বেতন ছিল ৫৩০০ টাকা।

টিপু মুনশি বলেন, সংশোধিত এই কাঠামো ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর থেকেই কার্যকর ধরা হবে। বর্ধিত অংশের টাকা ফেব্রুয়ারির বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

আগামী সাত দিনের মধ্যে সংশোধিত কাঠামোর গেজেট প্রকাশ করা হবে জানিয়ে শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

পোশাক শ্রমিকদের বেতন কাঠামোর গ্রেডিং বৈষম্য দূর করতে গঠিত সচিব কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শ্রমসচিব আফরোজা খান।

এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিজুল ইসলাম, মালিকপক্ষে বিজিএমই’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, আবদুস সালাম মুর্শেদী এমপি, বিজিএমই’র সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, হামীম গ্রুপের মালিক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ এবং শ্রমিকদের পক্ষে নাজমা আকতার, ফজলুল হক মন্টু, আমিরুল হক আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ গতকাল রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছে, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হবে, তা শ্রমিকদের মেনে নিতে হবে। এর পরেও যদি কেউ কাজে যোগ না দেয়, তাহলে শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের বেতন দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, সিদ্ধান্ত জানায়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি সকল দল-মতের মানুষকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের শফিউল বারী বাবুর জন্মদিনে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করল তার দুই শিশু সন্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : আফগান দলে ছয় অলরাউন্ডার কপ-২৯ সম্মেলনে জলবায়ু সহনশীলতা অ্যাডভোকেসি জোরদার করবে বাংলাদেশ : পরিবেশমন্ত্রী সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও নির্যাতন বন্ধের দাবি বিএফইউজে-ডিইউজের সব আদালতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়ন করা হবে : প্রধান বিচারপতি ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকের ওপর আক্রমণ ন্যক্কারজনক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা : অস্ট্রেলিয়ায় পর্ন সাইটেও নজরদারি গাজা যুদ্ধে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু : নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৬৮

সকল