১৬ মে ২০২৪, ০২ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫
`


মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যে বিব্রতকর অবস্থায় নির্বাচন কমিশন!

কে এম নূরুল হুদা ও মাহবুব তালুকদার - সংগৃহীত

বাংলাদেশে নির্বাচনের মুখে এসেও নির্বাচন কমিশন বিতর্ক এড়াতে পারছে না। প্রশ্ন উঠছে- প্রচারাভিযানের সময় একের পর এক সহিংস হামলার ঘটনাগুলোর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কতটা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছে?

সহিংসতা নিয়ে অভিযোগ অব্যাহত রেখে নির্বাচন কমিশনকে চাপের মধ্যে রেখেছে বিরোধীদল বিএনপি এবং তাদের জোট । তাদের অভিযোগকে 'গুরুত্ব না দেবার' অভিযোগে তারা কমিশনের সাথে বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগও দাবি করেন।

তবে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আইন অনুযায়ী অভিযোগগুলোর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে এই অভিযোগের আগুনে ঘি ঢেলেছেন একজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি 'নির্বাচন আর সহিংসতা একসাথে চলতে পারে না' - এমন বক্তব্য দেয়ার ফলে নির্বাচন কমিশন এক ধরণের অস্বস্তিতে পড়েছে।

শেষ মুহূর্তেও কেন এসব প্রশ্ন বা অভিযোগ থেকে রেহাই মিলছে না নির্বাচন কমিশনের?

বিএনপি এবং তাদের নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সর্বশেষ অভিযোগ করে যে তাদের প্রার্থী বা সমর্থকদের ওপর প্রায় দুইশ সহিংস হামলার অভিযোগ বা উদ্বেগকে নির্বাচন কমিশন গুরুত্বই দেয়নি, কোন ব্যবস্থাও নিতে পারে নি।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও বিএনপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করছে যে ৫১টি জেলার ৮৮টি আসনে তাদের নেতাকর্মীদের ওপরই হামলা হয়েছে।

তবে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সব ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা।

তিনি বলছেন, তারা কোনো চাপের মধ্যে নেই এবং তারা স্বাধীনভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।

কিন্তু বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, জেনারেল এরশাদ সরকারের পতনের পর এবারই প্রথম একটি রাজনৈতিক দলের সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে - যাতে সবগুলো দল অংশ নিচ্ছে।

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে বলেই প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্বাচন কমিশনের চাইতে সরকারের প্রভাব বেশি থাকছে - বলছেন এই বিশ্লেষকরা। সেখানে কমিশন কঠোর ভূমিকা রাখতে পারছে না এবং নানা বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

অন্যদিকে একজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নির্বাচনের তিন দিন আগে এক বিবৃতি দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, "নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। এবারের নির্বাচনকে সব পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে না পারলে জাতির আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে।"

এর আগেও এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় কমিশনার মাহবুব তালুকদার বিভিন্ন ইস্যুতে ভিন্নমত তুলে ধরেছেন এবং সংবাদমাধ্যমের কাছেও সেই বক্তব্য দিয়েছেন।

তার এবারের বক্তব্য নিয়েও অন্য কমিশনাররা কিছু বলতে রাজি নন। তারা মনে করেন,এটি ব্যক্তিগত মতামত।

তবে নির্বাচনের তিন দিন আগে মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য কমিশনকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে বলে কমিশনের সূত্রগুলো বলছে।

নির্বাচন কমিশনের সাবেক একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেসমিন টুলী বলেছেন, কমিশন শুরু থেকেই আচরণবিধি নিয়ে প্রার্থীদের চাপের মধ্যে রাখতে পারে নি। সেজন্য প্রার্থীরাই অভিযোগ দিয়ে কমিশনকে চাপের মধ্যে ফেলেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপি নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে।


আরো সংবাদ



premium cement
মানিকগঞ্জে সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকদের টাকা না দেয়ায় মানববন্ধন চট্টগ্রামে পিকআপ ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ১ ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডারের দ্বিতীয় দিনেও রাজশাহীর বানেশ্বর হাট আমশূন্য ভালুকায় আইসক্রিম কারখানায় রান্নার সময় পাঁচকের মৃত্যু আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কর্মপরিধি-সময়সীমা বাড়ছে সিদ্ধিরগঞ্জে চিহ্নিত হয়নি স্বপ্না হত্যার ঘাতক, স্বজনদের মানববন্ধন বান্দরবানে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ৭ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে দুঃসংবাদ ইসলাম ধর্ম অবমাননার দায়ে কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার গাজা যুদ্ধ : বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা রূপপুরসহ ১০ প্রকল্পে বরাদ্দ ৫২ হাজার কোটি

সকল