২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১৮ ঊর্ধ্বরা টিকাগ্রহণ ছাড়া রাস্তায় বের হলে জরিমানা

- ফাইল ছবি

লকডাউন উঠে যাচ্ছে ১১ আগস্ট। ওই দিন থেকে দোকানপাট ও গণপরিবহন চলাচল শুরু হবে রাজধানীসহ সারাদেশে। তবে এ সময় ১৮ বছরের বেশি বয়স্করা টিকাগ্রহণ ছাড়া বাইরে চলাচল করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানার আওতায় আনা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাশেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ১১ আগস্ট থেকে অফিস-আদালত, দোকানপাট, কলকারখানা খুলে দেয়ায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণপরিবহন বাই রুটের মাধ্যমে সীমিত আকারে চলবে।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, আগামী এক সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে পাঁচ থেকে সাতটা কেন্দ্র করে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে। মানুষকে এ জন্য দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সেখানে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেব। কারণ বৃদ্ধ লোকদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা একইসাথে শ্রমিক, বাসের হেলপারসহ সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবেন না। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। ভ্যাকসিন দিলেই ওয়েবসাইটে জানা যাবে। সেগুলো চেক করা হবে। ভ্যাকসিন দেয়ার পর সাথে সাথে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবে। ভ্যাকসিন নিয়েছে কি না যাচাই করতে পারব।

তিনি বলেন, ৭, ৮, ৯ আগস্ট সুযোগ রাখলাম। যাতে তারা ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসাকেন্দ্র খুলতে পারে। সময় বাড়াচ্ছি তা, ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ দিচ্ছি। ১১ তারিখ থেকে যাতে খুলতে পারে সেই সুযোগ রেখেছি। ১৮ বছরের বেশি কেউ এরপর ভ্যাকসিন গ্রহণ ছাড়া চলাচল করলে জরিমানা দিতে হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার। এখন তা বাড়িয়ে ১০ জুলাই করা হলো। একইসাথে টিকাদানে সরকার পরিধি বাড়িয়ে তা কার্যকরে কঠোর নীতি অনুসরণ করার ঘোষণা দিয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement