০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


‘মারাত্মক শক্তিশালী’ হয়ে উঠছে ঘূর্ণিঝড় আমফান

‘মারাত্মক শক্তিশালী’ হয়ে উঠছে ঘূর্ণিঝড় আমফান - ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ শক্তি বাড়িয়ে ‘মারাত্মক শক্তিশালী’তে পরিণত হয়ে ধেয়ে আসছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষ্যা ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে প্রকাশ, ভারতীয় আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের কেন্দ্রীয় অংশগুলোতে অত্যন্ত তীব্র আকার নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। গত ছয় ঘণ্টার মধ্যে ১৩ কিলোমিটার বেগে সেটি উত্তর-উত্তর-পূর্বের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে, অত্যন্ত তীব্র এই ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশই আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। যে গতিতে আমফান এগোচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে বুধবারই এটি পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়বে।

আগামী ছয় ঘণ্টার মধ্যে এই ঝড়টি আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়টি সম্ভবত উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এটি মূলত আগামী ২০ মে বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের দিঘা উপকূল ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপপুঞ্জের উপর দিয়ে আছড়ে পড়তে পারে। আমফানের ‘অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়’-এ রূপান্তরিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা।

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে উপকূল সংলগ্ন জেলা অর্থাৎ কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবারের থেকে বুধবার ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে। এই দু'দিন দক্ষিণবঙ্গের এই সাত জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদদের ধারণা, মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় আমফান।

ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে এগিয়ে এসে সোমবার সকাল ৬টায় এটি অবস্থান করছিল পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায়।

সে সময় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement