২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শান্তি ও সমৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার সবচেয়ে স্থায়ী মাধ্যম হলো গণতন্ত্র : যুক্তরাষ্ট্র

শান্তি ও সমৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার সবচেয়ে স্থায়ী মাধ্যম হলো গণতন্ত্র : যুক্তরাষ্ট্র - ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে- ভিসা নীতির বিষয়ে ওয়াশিংটনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণায় তারা ‘অভিভূত’ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ড. ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে গণতন্ত্র শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার ধারা বজায় রাখার সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মাধ্যম। এ কারণেই আমরা এই ঘোষণা দিয়েছি এবং আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে উন্মুখ।’

যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিরোধী দলকে আহ্বান জানাবে কিনা জানতে চাইলে মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো রাজনৈতিক দলের কী করা উচিত বা কী করা উচিত নয় সে বিষয়ে আমি কথা বলতে যাচ্ছি না। আমি বলব যে এই এই প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সমর্থন করা। সেজন্যই আমরা নতুন নীতি ঘোষণা করেছি।’

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ আশা করে যে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নির্বিচারে উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রয়োগ করা হবে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ বিবৃতি পাঠ করেন।

ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাক্টের অধীনে তথাকথিত থ্রিসি বিধান অনুসারে ভিসা সীমাবদ্ধতা নীতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার নোট করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখার জন্য সর্বস্তরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার সরকারের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এই ঘোষণা দেখতে চায়।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ, যেখানে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক পরিচালনার জন্য কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সত্তার দ্বারা কোনো বেআইনি চর্চা বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবেলার জন্য সরকারি যন্ত্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়াটি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরসহ কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে।

সরকার আশা করে যে স্থানীয় অগণতান্ত্রিক শক্তি; যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়; তারা সতর্ক থাকবে এবং সংবিধানের নির্দেশিত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার তাদের বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘দেশে কষ্টার্জিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন লাভ টিকিয়ে রাখা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে।’

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর টেকসই অঙ্গীকারের পাশে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে বলে সরকার প্রশংসা করে।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড ‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের

সকল