পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবুল মোমেন রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে তাদের পৈতৃক বাসভূমে ফিরিয়ে নেয়া ত্বরান্বিত করা এবং আইসিজে কর্তৃক ‘সাময়িক ব্যবস্থা’ প্রতিপালনের জন্য মিয়ানমারকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে কমনওয়েলথের চেয়ার যুক্তরাজ্যসহ সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সুস্পষ্টভাবে পুনর্ব্যক্ত করতে চায় যে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত সকল রোহিঙ্গাকে নিরাপত্তা ও মর্যাদাসহ রাখাইনে তাদের পৈতৃক জন্মভূমিতে সম্ভাব্য দ্রুত সময়ে প্রত্যাবাসন করা আমাদের কাছে সর্বাধিক অগ্রাধিকারের বিষয় হয়ে রয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার লন্ডনে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রীদের ২১তম সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দফতর (এফসিডিও) বিষয়ক যুক্তরাজ্যের নব নিযুক্ত মন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রুস এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ লন্ডন মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়।
ড. মোমেন আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) সাময়িক ব্যবস্থা প্রতিপালন এবং রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রুস বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা বিষয়ে কমনওয়েলথের এজেন্ডা তুলে ধরেন।
যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ মন্ত্রী লর্ড আহমদ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানবিক নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্থায়ীভাবে প্রত্যাবর্তনের জন্য যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন কোভিড ভ্যাকসিনের প্রশ্নে বিশ্বব্যাপী সমতা বজায় রেখে ও বৈষম্যহীনভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং কোভ্যাক্সের অধীনে ভ্যাকসিনের দ্রুত ও সুষম বিতরণের লক্ষ্যে সম্মিলিত আওয়াজ তোলার জন্য কমনওয়েলথ মন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনার ও কমনওয়েলথ বোর্ড অব গভর্নরের গভর্নর সাইদা মুনা তাসনিম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তিনি গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গায়ানা বৈঠক সংক্রান্ত কমনওয়েলথ মন্ত্রী পর্যায়ের গ্রুপ বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা