যা লিখি সবি তা
তোমার কবিতা
তুমি ছাড়া কিছু নাই,
গাঙ্গেয় দেশে
লালনের বেশে
সেই কথা বলে যাই।
রাতে ঘুম নাই
দিবস বৃথাই
উপচানো কোলাহল,
তবুও বচন
করছি রচন
তোমার রাজমহল।
উঞ্চা পাবতে শবরি বালিকা
ডোম্বি হয়েছো কাহ্নে,
কবিকঙ্কণে তুমি ফুল্লরা
দেওয়ান মদিনা ধান্যে।
কালিনীর কূলে তমালের মূলে
জোনাক দেখেছো আষাঢ়ে,
পাখি হয়ে যাই পড়ি তার ঠাঁই
আয়ান বঁধুর আশারে।
হয়েছো যুবতী সেখ শুভোদয়ে
শূন্যপুরাণে স্বস্তি,
বেহুলার ভেলা আলোকে সাজায়
লক্ষিন্দরের বস্তি।
সোনার গাঁয়ের সৌরভ তুমি
জুলেখা তোমার নাম,
সব অপবাদ নিরবে সয়েছো
পায়ে পিষে সম্মান।
সতীময়নার নদী শত শত
মেঘনার কাৎরানি,
লাইলির দাহ দহন-বালুতে
তুমি লোর-চন্দ্রানী।
প্রেম অভিসারে কোকাফ ছেড়েছো
তুমি গুলে বাকাওলি,
শামারুখ তুমি বদিউজ্জামাল
তুমিই কর্ণফুলী।
শিরির জন্য ব্যাকুল অরণ্য
রোসাঙ্গের রাজপথে,
হীরা মরকত পেলো শওকত
পদ্মাবতীর নথে।
নাকফুল বেচে কতো অবিচারে
মলুয়ার ভালোবাসা,
যমুনার ধারা ধুয়ে নিয়ে যায়
স্বার্থ সর্বনাশা।
বিষলক্ষার ছুরির হোমরা
কি করে মেটায় সাধ,
মহুয়া তোমার কংস নদীতে
এ ভূমি নদের চাঁদ।
কাজলরেখার পথে নেমে গেছ
চম্পাবতীর নদী,
গাজী ও কালুর ধুলার হালটে
চন্দ্রিমা নিরবধি।
রোহিণীর ব্যথা বিঁধেছে তোমাকে
সখিনার আহাজারি,
বিষাদসিন্ধু করে প্রশস্ত
আত্মার জমিদারি।
পথিক তুমি পথ হারায়েছ
হাজারকালের কুণ্ডলা,
প্রণয় ছিল পরিণয় হলো
সখিনার শাড়ি ফুল তোলা।
সাগরদাঁড়ির কৃষ্ণকৃমারী
শেষের কবিতা বন্য,
শিলং পাহাড়ে মিলেমিশে যায়
লাবণ্য তুমি ধন্য।
নারগিস বনে শান্ত হয়েছে
বিদ্রোহী রূপকথা,
আরজনমের হংস মিথুন
হয়েছো স্বর্ণলতা।
এই ধানক্ষেতে তুমি পার্বতী
এ মাটির রাজলক্ষ্মী,
সূর্যদীঘল বাড়ি জয়গুন
রূপার উড়ালপক্ষী।
নবীতুন তুমি নিধুঁয়া পাথারে
পুরুষ ভেসেছে সাগরে,
একা বিছিয়েছো টুনির হৃদয়
হাড়হাভাতের ঘরে।
কপিলা কুসুমে পুতুল নাচিয়ে
নাও ভাসিয়েছো কামনায়,
ময়নার দ্বীপে নতুন প্রদীপে
দুর্গারা সরে যায়।
নতুন চরের মতো মুখখানি
সাজুর নকশিকাঁথা,
শত তরঙ্গে দুলি দুলি ডাকে
সোজনের প্রেমগাথা।
বনলতা তুমি দারুচিনি দ্বীপে
বুদ্ধে হয়েছো কঙ্কা,
সোনালী কাবিনে স্বাক্ষর করে
দূরে গেছে সব শঙ্কা।
সুয়োরানী তুমি দুয়োরানী তুমি
সাত ভাই বোন চম্পা,
কিরণমালার স্বরলিপি পায়
নদীদের অনুকম্পা।
রাত শেষ হয় তারারা ঘুমায়
কাহিনীর নাই শেষ,
শাহেরজাদী এবার অন্তত
কর সব নিঃশেষ।
বিউগল বাজে ছাড়বে জাহাজ
বন্দরে দিন শেষ,
ওগো আনোয়ারা তোমার তৃষ্ণা
তবুও অনিঃশেষ।
কৃষকের তুমি সোনামাখা ধান
মসলিন জামদানি,
সকল কালের পুরুষে করেছ
প্রণয়ের আমদানি।
জোছনার রাতে হয়েছ প্রেমিকা
জনক করেছ কবিকে,
পৃথিবীর পথে ফেরি করে কবি
সেই জননীর ছবিকে।
ঘুম নাই চোখে
ফিরি লোকে লোকে
বাংলা কবিতা সত্য,
এ তোমার প্রাণ
এ তোমার গান
স্বর্গ পাতাল মর্ত্য।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা