২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রশ্নোত্তর

-

প্রশ্ন : এই পৃথিবীতে কুফরি কালামের অস্তিত্ব আছে কি? অনেকে বলে এর প্রয়োগ মানুষের ক্ষতি করার জন্য করা হয়। যেমন- কারো আর্থিক ক্ষতি বা কোনো কুমারী মেয়ের যথাসময় যাতে বিয়ে না হয়। এরূপ ক্ষেত্রে অনেকে বলেন, ওনার ওপর জাদু করা হয়েছে বা সেই কুমারীকে কুফরি কালাম দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। এ কথার কি কোনো ভিত্তি আছে? আর যদি থাকে এর লক্ষণ এবং এর থেকে প্রতিকার কী?
উত্তর : কুফরি কালাম বা জাদুর মাধ্যমে মানুষের শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতি করা যায়। কুরআন ও হাদিসে জাদু ব্যবহারকে কুফর বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। জাদুকর মূলত পূজা ও শিরকের মাধ্যমে জিনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। যেমন- ধূপ, সুগন্ধি প্রভৃতি উৎসর্গ করা, কোনো পশু বা পাখি জবাই করা, জিন বা শয়তানের সাহায্য প্রার্থনা করা, তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মন্ত্র পাঠ করা ইত্যাদি। এগুলো সবই শিরক। অনেক সময় মুসলিম জাদুকরকে প্রতারিত করতে শয়তান জিন এরূপ শিরকি মন্ত্রের সাথে কুরআনের আয়াত বা দোয়া সংযুক্ত করে রাখে। কুরআনের আয়াত বা দোয়ার আগে-পরে বা মধ্যে শয়তানের পছন্দনীয় বা অর্চনামূলক দু-একটি বাক্য রেখে দেয়। এরূপ শিরক ছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের কুফর ও মহাপাপের মাধ্যমে শয়তানকে সন্তুষ্ট করতে হয়। যেমন কুরআনের অবমাননা, কুরআনের আয়াত উল্টে লেখা, নাপাকি দিয়ে লেখা, জঘন্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হওয়া, ঘৃণ্য নাপাকির মধ্যে বা নাপাক অবস্থায় থাকা, মানুষ হত্যা ইত্যাদি। এসব কর্মের মাধ্যমে জাদুকর সামান্য কিছু অস্বাভাবিক ক্ষমতা অর্জন করে। যেমন- ভেল্কি দেখানো, সত্য-মিথ্যামিশ্রিত কিছু অজানা বা গায়েবি কথা বলা, মনের কথা বলা, বান-টোনার মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করা ইত্যাদি। এদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কুরআন ও হাদিসে অনেক দোয়া ও জিকির উল্লেখ আছে।
ফতোয়া বিভাগ, আস সুন্নাহ ট্রাস্ট


আরো সংবাদ



premium cement