দেশব্যাপী তীব্র রোদ ও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পাশাপাশি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলাও তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে।
রোদে পুড়ছে প্রকৃতি, বইছে তাপ প্রবাহ, স্বস্তি নেই কোথাও। জনজীবনে কাহিল অবস্থা। দুপুরের রোদে খোলা আকাশের নিচে হাঁটলে গরম বাতাসে মুখমণ্ডল পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। সূর্য এতটাই প্রখর যে বাইরে বের হলেই মনে হচ্ছে অগ্নিকুণ্ড। একটু প্রশান্তি ও শরীরকে সতেজ রাখার জন্য মানুষ ছুটছেন গাছের ছায়া, কিংবা পুকুর পাড়। এছাড়াও গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর কিংবা নদীর পানিতে পার করছে সময়। শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। কারণ প্রচুর লোডশেডিং আর বৈদ্যুতিক পাখাও হার মানছে এই তিব্র গরমের কাছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সরেজমিনে নাগরপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ভ্যাপসা গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কর্মজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আর এই তীব্র রোদে মানুষের মুখে দেখাচ্ছে মলিনতার ছাপ।
গাছের ছায়া আর পুকুর পাড়ে বসে থাকা কয়েকজন দিনমজুরী বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমে কাজে মন বসছে না আর দুপুরের কড়া রোদ আর সহ্য হচ্ছে না, তাই কাজের ফাঁকে গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছি।
কৃষক আব্দুল বাতেন বলেন, তীব্র গরমের মাঝে ফসল কাটতে যেয়ে অবস্থা একেবারে নাজেহাল। বার বার ঠাণ্ডা পানি আর লেবুর শরবত পান করলেও স্বস্তি মিলছে না। এই অতিরিক্ত গরমে নাগরপুরের জনজীবন যেন গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশির প্রাদুর্ভাব।
এ বিষয়ে একাধিক ডা. ও এলাকার বয়স্ক বেশ কয়েকজন ব্যক্তিরা জানান, বিগত কয়েকদিনে গরমের কারণে বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। তাপদাহ বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে ঠাণ্ডা পানীয়। ফুটপাতে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে আঁখের রস, তালের শাস, ডাব ও বিভিন্ন ফলমূলের সাথে লেবুর শরবত।
সারা দেশে হিট আল্যার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মুকতাদির হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্রের সিনিয়র কনসালটেন্ট জানান, গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য পুষ্টিকর ও স্বাস্থসম্মত খাবারের প্রতি অধিক মনোযোগী হতে হবে কারণ কিছু খাবার আছে যা আমাদের শরীর ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। বেশী গরমে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণের অনেকটাই বের হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা দেয় পানি শূন্যতা।
এছাড়াও গরমে ডায়েরিয়া, হিটস্ট্রোক ইত্যাদি রোগ সমুহ হতে পারে। এ সময় অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, তৈলাক্ত খাবার পরিহার করে পুদিনা পাতা, তরমুজ, শসা, দই, পানি, শকাসবজি এ সমস্ত খাবার বেশী বেশী খেতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও তরল খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন এ-ই চিকিৎসক কর্মকর্তা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা