২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আশুলিয়ায় আরিফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

আশুলিয়ায় আরিফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঢাকার আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস আরিফ হোসেন (১৯) হত্যার মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে র‌্যাব-৪-এর নবীনগর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরিফ সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থানার বাজরা গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া এলাকায় একটি রং তৈরির কারখানায় চাকরি করতেন। গত ২১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যায় বিশ্বাসপাড়া এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরের দিন আশুলিয়ার কলতাসূতি বাড়ল কবরস্থানের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানান, গত ২৪ জানুয়ারি সকালে আশুলিয়ার কলতাসূতি বাড়ল কবরস্থানের পাশ থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় আরিফের লাশ উদ্ধার হয়। পরে পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নামে র‌্যাব। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ২৮ জানুয়ারি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার সম্পৃক্ত মূলহোতা সেন্টু সরদারসহ (৩৫) মো: জমির উদ্দিন (৩৩), রাব্বি আহম্মেদ (২৪), ও মো: জহিরুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা র‌্যাবকে জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ও সুকৌশলে আরিফকে আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতি গ্রামের কেন্দ্রীয় গণকবরের ভেতর নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং আরিফের মুখ চেঁপে ধরে ও পরিহিত প্যান্ট খুলে হাত-পা বেধে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। আরিফ টাকা দিতে অস্বীকৃত জানায় ও ধস্তাধস্তি করেন। একপর্যায়ে আসামিরা আরিফের গলা চেঁপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আরিফের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর লাশটি কবরস্থানের নির্জন এলাকায় ফেলে তারা ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।

র‌্যাব-৪-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা সংঘবন্ধভাবে দীর্ঘ চার বছর যাবত নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও গাবতলী-পাটুরিয়া মহাসড়কসহ সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই এর বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে সুকৌশলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নির্জনস্থানে আটকে রেখে ভিকটিকমের স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করত। একইসাথে তারা অপহরণ, চুরি ও ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটিয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, চুরি ও ছিনতাই এর একাধিক মামলা রয়েছে। তারা বিগত তিন-চার বছরে ৬০টির অধিক প্রতারণা এবং চাঁদাবাজির কাজ করে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement