২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


কিশোরগঞ্জে হোটেল কর্মচারির খণ্ডিত লাশ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে হোটেল কর্মচারির খণ্ডিত লাশ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য - ছবি : নয়া দিগন্ত

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মতিউর রহমান (৫৫) নামের এক হোটেল কর্মচারির খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের শরীরের কোমর থেকে মাথা পর্যন্ত অংশ পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকায় এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের সুলতান নগর গ্রামের পূর্বপাড়া ডোবারপাড় গোরস্থান থেকে এ খণ্ডিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মতিউর রহমান সুলতাননগর গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, তার প্রথম স্ত্রী সাত বছর আগে মারা যান। তিনি গত শুক্রবার গাংগাটিয়া গ্রামের দুলেনা খাতুন নামে আরেক নারীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাছাড়া স্থানীয় মরিচখালি বাজারে বন্ধু সুলতাননগর গ্রামের মৃত হারেছ মিয়ার হোটেল কর্মচারি হিসেবে কাজ করতেন।

খবর পেয়ে করিমগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: ইফতেখারুজ্জামান, ওসি শামসুল আলম সিদ্দিকী ও ওসি (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে করিমগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: ইফতেখারুজ্জামান বলেন, লাশের পা থেকে কোমর পর্যন্ত বাকি অংশের সন্ধান করছে পুলিশ। মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত বাকি অংশ অনেকটা বিকৃত হয়ে গেছে। লাশ মোটামুটি শনাক্ত হয়ে গেছে। তবু একেবারে শতভাগ নিশ্চিত হতে ক্রাইম সিনের লোকজন ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। আইনগত অন্যান্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, তার আগের স্ত্রীর ঘরের দু’ছেলে ও দু’মেয়ে রয়েছে। তারা সবাই আলাদা আলাদা থাকেন। নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্য তিনি গত শুক্রবার দুলেনা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তিনি একই ইউনিয়নের গাংগাটিয়া শ্বশুরবাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে থাকতেন।

স্ত্রী দুলেনা খাতুন জানান, মঙ্গলবার মতিউর রহমান তার বাড়ি সুলতাননগর যান। সেখান থেকে বিকেল বেলা বের হয়ে সন্ধ্যার দিকে তার কাছে আসেন। সন্ধ্যার পর তার বন্ধু হোটেল মালিক হারেছ তাকে মোবাইলফোন করলে তিনি বের হয়ে যান। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

এলাকাবাসী ও স্ত্রীর অভিযোগ, তিনি যে দোকানে কাজ করতেন এ হত্যাকাণ্ডের সাথে তার জড়িত থাকার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কারণ গত তিন ধরে হারেছের দোকানটি বন্ধ রয়েছে। দোকান মালিককে এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কারণে হারেছের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। আর এর জের ধরে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

এলাকাবাসী জানায়, গত ১০-১২ বছর ধরে হারেছের ভাতের হোটেলেই তিনি কাজ করতেন। তারা দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিল।

পুলিশ এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করছে। মামলা না হলেও এ হত্যাকাণ্ডের নানা দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লাশের বাকি অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এদিকে এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শত শত লোক উদ্ধার হওয়া মতিউরের শরীরের অংশটি দেখতে ভিড় করেছে ওই গোরস্থানে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফের ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি ম্যানসিটির টানা চতুর্থ শিরোপা কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে বান্দবানে মানববন্ধন তাপপ্রবাহের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন নির্দেশনা ‘ভুয়া তথ্য’ ছড়িয়ে কিরগিজস্তানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা রংপুরে হুমকি দাতা ইউপি মেম্বারকে তলব করল রিটার্নিং কর্মকর্তা রোহিঙ্গা গ্রামে আরাকান আর্মির হামলা ও অগ্নিসংযোগ মিরপুরে ব্যাটারি চালিত রিক্সাচালক ও পুলিশ সংঘর্ষ : আহত অর্ধশত লজ্জাহীনতার বার্তা শিশুদের মনে দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার গুরুতর আঞ্চলিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল