২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ভোট দিতে পারেননি ফাতেমা

৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ভোট দিতে পারেননি ফাতেমা - ছবি : নয়া দিগন্ত

সকাল সকাল ভোট দিয়ে বাড়ি চলে যাবেন ফাতেমা আক্তার। এমন প্রত্যাশা নিয়ে সকাল ৮টার দিকে ভোট কেন্দ্রে আসেন তিনি। দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে পারেননি। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে লাইন ছেড়ে গাছের ছায়াতে বসে পড়েন তিনি। ভোট দেয়ার আশা নিয়ে সেখানে প্রায় ১ ঘণ্টা বসে আসেন।

শুধু ফাতেমা আক্তার নয়। ফাতেমা আক্তারের মতো অনেককে দেখা গেছে নাসিক নির্বাচনে সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।

বিলম্ব হওয়ার ব্যাপারে ফাতেমা আক্তার নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমি শুনেছি ইভিএম ভালোভাবে কাজ করছে না। যার জন্য দেরি হচ্ছে। একটা ভোট কেন্দ্রে ডিস্টাব ইভিএম নিয়ে আসবে কেন? প্রয়োজনে নতুন ইভিএম আনুক। মানুষের এত ভোগান্তির তো দরকার নেই। আমরা আসছি, ভোট দিয়ে বাসায় গিয়ে দুপুরে রান্না করব। পরিবারের সবাই খাবে। নিয়মের মধ্যে কাজটা হলে আমাদের জন্য ভালো।’

লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বসে পড়েন বৃদ্ধা কহেনুর বেগম। দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাইনে দাঁড়ান তিনি। দুই ঘণ্টা পর একই জায়গা আছেন বলে জানান। তার অভিযোগও ইভিএম নিয়ে।

৭টার সময় ভোট দিতে আসেন শিউলি। ৮টায় লাইনে দাঁড়ান। বেলা ১২টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারেননি তিনি। অভিযোগ করে শিউলি নয়া দিগন্তকে বলেন, ইভিএম ‘স্লো’। এজন্য ভোটদিতে দেরি হচ্ছে। যার কারণে আমরা ভোট দিতে পারছি না। আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে হাত-পা ব্যাথা করছে।

তবে ইভিএম ‘স্লো’ কাজ করছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করছেন দায়িত্বরত পোলিং অফিসার ইদ্দিস আলী। তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, এখানে বয়স্ক মানুষ ভোট দিচ্ছে। তারা ইভিএমে ভোট দিতে যেয়ে অধিকার সময় নিচ্ছেন। ইভিএমে তিন বাটনে একাধিকবার চাপ দিচ্ছেন। যার কারণে অন্যদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গতকাল মক ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে নারী আসেনি। এলে এই ঝামেলা হতো না।


আরো সংবাদ



premium cement