২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে চার বছরের শিশু

বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে চার বছরের শিশু ছেলে শাফিন মাহমুদ সামী - ছবি : নয়া দিগন্ত

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামে ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মাকড়াইল বাজারে বাজারের চৌরাস্তায় এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বাবার খুনিদের বিচার চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে অন্যদের সাথে আরো অংশ নেয় নিহতের চার বছর বয়সী শিশু ছেলে শাফিন মাহমুদ সামী ও ১৩ বছর বয়সী ছোট মেয়ে ঢাকার ভিকারুন্নেসা স্কুলের ছাত্রী জান্নাতুল জাহান প্রীতি।

এ সময় কামালদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: ইউনুস মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কামালদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল বাশার, জাহাঙ্গীর হোসেনের বাবা মো: হারুন-অর-রশিদ হিরু মিয়া, বড় মেয়ে ঢাকার ভিকারুন্নেসা স্কুলের ছাত্রী মাহমুদা জাহান জ্যোতি, স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল ইসলাম, হানিফ শেখ, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মনজু মণ্ডল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার মণ্ডল প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তব্যকালে নিহতের বাবা হিরু মিয়া বলেন, গত ১১ দিন আগে নৃশংসভাবে জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার পর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ একজন আসামিকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

নিহতের মেয়ে মাহমুদা জাহান জ্যোতি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বাবা সারাজীবন সততার সাথে জীবন পরিচালিত করেছেন। তিনি কারো কোনো অন্যায় আচরণ করেছেন বলে শুনিনি। গ্রামে মাদক, সন্ত্রাস ও ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তাকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তাগণ অভিযোগ করেন, জাহাঙ্গীর হত্যাকাণ্ডের আগেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। তখনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন হত্যাকাণ্ডের পরেও আসামিদের গ্রেফতারের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুন দুপুরে মধুখালি হতে নিজ গ্রাম মাকরাইল ফেরার পথে জাহাঙ্গীর হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পর ওই রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা হিরু মিয়া ওয়ালিদ হাসান মামুনকে প্রধান আসামি করে এবং ১৬ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে মধুখালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে মধুখালি থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার ও আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়টি সিআইডি দেখছে। আমাদের সহায়তা চাইলে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।

সিআইডির ইন্সপেক্টর আক্তারুজ্জামান মিনা বলেন, মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা সঠিক পথেই এগুচ্ছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement