০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিয়ে আ’লীগ নেতাদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের বাক-বিতণ্ডা

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিয়ে আ’লীগ নেতাদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের বাক-বিতণ্ডা - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষে আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসেনর সাথে বাক-বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রোববার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আগে আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধা নিবেদন করায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আম্বিয়া সুলতানা শ্রদ্ধা নিবেদনে অস্বীকৃতি জানান।

এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবু দারদা আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন করা পুষ্পমাল্য সরিয়ে দিয়ে ইউএনও-কে শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তাব দেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে শ্রদ্ধা নিবেদন না করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবুল কালাম আজাদ, বহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: মনিরুজ্জামান মনির নিজেদের কক্ষে চলে যান।

পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান মোল্যা, বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারিকুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন, ভাইস চেয়ারম্যান মো: মনিরুজ্জামান মনিরসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হন। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অবমূল্যায়ন হওয়ার অভিযোগ করেন। এ বাক-বিতণ্ডার পর সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মতিন ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন, বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: নায়েব আলী শেখ ও নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আব্দুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাক-বিতণ্ডার ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে কোনো কর্মসূচি করার কথা না থাকলেও থানা পুলিশের সাথে সেখানে আলোচনা সভা করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানার কাছে বাক-বিতণ্ডার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো সবই শুনেছেন, দেখেছেন। জিজ্ঞাসা করেন কেন?’


আরো সংবাদ



premium cement