২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া রাস্তা সংস্কার কাজ ফের শুরু

-

দৈনিক নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অবশেষে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া মহাসড়কের সংস্কার কাজ ফের শুরু করেছে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশন।

শনিবার হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশলী এ জেড মো: রাকিবুল আহসান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিজে উপস্থিত থেকে উপজেলার গোলচত্বর মোড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই রাস্তা সংস্কার কাজ ফের শুরু করেন। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে এবং উপস্থিত জনতা নয়া দিগন্তকে ধন্যবাদ জানান।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক নয়া দিগন্তে ‘হোসেনপুরে রাস্তা সংস্কারে ধীরগতি, জনদুর্ভোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে আসে। পরে মন্ত্রণালয় থেকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করার জন্য কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়। হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশলীকে কাজ শুরুর নির্দেশ দিলে শনিবার ফের রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করেন ঠিকাদার।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর এফডিডিআরআইআরপি প্রকল্পের আওতায় হোসেনপুর থেকে কাওনা বাজার পর্যন্ত ৩ হাজার ৮০০ মিটার ও হোসেনপুর বাজার থেকে গোবিন্দপুর বাজার পর্যন্ত ৯ হাজার ৮০০ মিটার রাস্তায় কার্পেটিং ও আরসিসি ঢালাইয়ের কার্যাদেশের চুক্তি সম্পন্ন হয় ঢাকার মেসার্স ডলি কনস্ট্রাকশনের সাথে। কিন্তু হোসেনপুর হাসপাতাল চৌরাস্তা থেকে দ্বীপেশ^র গোলচক্কর পর্যন্ত ২০০ মিটার রাস্তা গত বছর রমজান মাস থেকে মাটি খুঁড়ে পুরো রাস্তাটি দীর্ঘ ছয় মাস ফেলে রেখে উধাও হয় ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পরে স্থানীয়রা রাস্তার দু’পাশে মাটি ফেলে গর্ত ভরাট করার কিছুদিন পর আবার পাথর ফেলে উধাও হয় ঠিকাদার। পরে এ সংক্রান্ত সংবাদ নয়া দিগন্তে প্রকাশের পর কতৃপক্ষের টনক নড়ে।

এ ব্যাপারে ডলি কনস্ট্রাকশনের দেখভালের দায়িত্বরত সাইড প্রকৌশলী মো: সাকিল সরকারের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় তাদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পাওনা রয়েছে ৩০ কোটি টাকার বিল। সাত মাস আগে অনেক কাজের শতভাগ সম্পন্ন করে বিল সাবমিট করেও স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে অর্থ সংকটের কথা বলে বিল পরিশোধ করতে না পারায় তারা অর্থ সংকটে রাস্তা সংস্কার চলমান রাখতে পারছেন না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অব্যাহত চাপে অন্যভাবে ম্যানেজ করে ফের কাজ শুরু করেছেন।

হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশল প্রকৌশলী এজেডএম রাকিবুল আহসান তাদের বকেয়া বিলের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আমাদের কাছেও এ প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি টাকার বিল আটকে রয়েছে যা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল