১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


ধর্ষিতা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা, বিপাকে পরিবার

ধর্ষিতা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়ে অন্তঃসত্তা, বিপাকে পরিবার - ছবি : সংগ্রহ

ঢাকার দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম ধোয়াইর গ্রামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মায়া (ছদ্মনাম, বয়স ২০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি এখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। একই গ্রামের আল আমিন নামে দুবাইপ্রবাসী লম্পট প্রতিবন্ধিতার সুযোগ নিয়ে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করায় অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন। এতে বিপাকে পড়েছে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী পরিবারটি। মেয়ের গর্ভের সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তার মা। উল্লেখ্য, মেয়েটির মা-বাবাও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদী ভাঙ্গনের কবলে বাড়ি ঘর হারিয়ে নিঃস্ব ওই পরিবার। পশ্চিম ধোয়াইর গ্রামে এ ঝোপঝাড়ে ঠাঁই দেন জনৈক প্রভাবশালী সাত্তার পত্তনদার। কোনো রকম টিন বাঁশের ঝাপড়া ঘরে ৪ সদস্যের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী পরিবারের বসবাস। স্বামীও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়েছে কয়েক বছর আগে। পরিবারের ভরণ পোষণ করতে বাড়ি বাড়ি ঝি-এর কাজ নেন মা। সকালে গেলে আসেন দুপুরে। এরই মধ্যে নয়াবাড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাত্তার পত্তনদারের লম্পট পুত্র আল-আমীন ছুটিতে আসেন দুবাই থেকে। পুকুরে মাছ ধরার ছলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি মায়া অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ সুযোগে আল-আমীনও দুবাই পাড়ি জমান।

মেয়েটির মা বলেন, এ ঘটনার তিন মাস পর আমার মেয়ের শারিরীক পরিবর্তন দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে আল-আমিনের কথা জানায়। লম্পট আল-আমীনের পিতা সাত্তার পত্তনদারের কাছে এ বিষয়ে বিচারও চান তিনি। তার ছেলের কুকর্মের কথা সাত্তার পত্তনদারকে বললে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।

ঘটনাটি জানা জানি হওয়ার আগে স্থানীয় নয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ হান্নান ও ইউপি সদস্য সামছু মেম্বার ও আরব মেম্বারের কাছে বিচার চাইলেও তারা অভিযোগ আমলে নেননি বলে অভিযোগ করেন মেয়েটির মা। তিনি অভিযোগ করেছেন, একপর্যায়ে মেরে ফেলার ভয় ভীতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।

নির্যাতিতার মা আরো বলেন, আমার বুদ্ধি প্রতিবদ্ধী মেয়েকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি। বিদেশ থেকে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। প্রাণ বাজাতে কিছুদিন নবাবগঞ্জের তাশুল্লা বাংলাবাজারে নিকট আত্মীয়ের বাড়ীতে কিছুদিন পালিয়ে ছিলাম।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী আক্তার হোসেন বলেন, সাত্তার পত্তনদার প্রভাবশালী হওয়ায় এ অসহায় পরিবারটির পাশে কোনো জনপ্রতিনিধিরা সঠিক বিচার করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। আমি মেয়েটির জন্য কথা বললে চেয়ারম্যান, মেম্বার আমাকে মামলা দেয়ার ভয়ভীতি দেখায়।

এদিকে মেয়ের সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় চেয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোথাও বিচার না পেয়ে দোহার থানায় আল আমিনকে প্রধান আসামি ও তার পিতা সাত্তারসহ মোট চারজনকে আসামি করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নিয়েছে পুলিশ। মামলার পর আসামিরা বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।

এ বিষয়ে নয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ হান্নান বলেন, আমার কাছে কেউ বিচার নিয়ে আসেনি। এ ধরনের বিচারে আমার ইখতিয়ার নেই।

দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। প্রতিবন্ধী মেয়েটির ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।

এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি বিদেশে এবং বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। শিগগিরই আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
স্কুলছাত্র অন্তর হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার ‘ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী বাছাই হয়ে গেছে’ এখনো ম্যান সিটি প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেনি, গার্দিওলার সতর্কবাণী সাউথ পয়েন্টে কারাতে বেল্ট বিতরণ আচরণবিধি ভঙ্গ করলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে : ইসি আহসান হাবিব গাজায় ১০ দিন ধরে চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না মুন্সীগঞ্জের মধ্য কোর্টগাঁও এলাকার পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন : রাষ্ট্রপতি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন ঢাকা থেকে গ্রেফতার ছয় আরব দেশকে গাজায় টেনে আনছে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে : প্রশ্ন কাদেরের

সকল