০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে এখন বাড়িছাড়া পরিবার

অপরাধ
নিহত মোনালিসা (ডান), আসামি আবু সাইদ (বামে) - ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের বড় আমবাগান এলাকার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মোনালিসাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ইন্টারপোলের তালিকাভুক্ত অপরাধী আবু সাইদ জামিন পেয়েছে। আলোচিত এই ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আবু সাঈদকে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত জামিন দেয়া হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল আদালত জামিনের এ নির্দেশ দেয়।

এদিকে আসামির জামিন হওয়ায় আতঙ্কে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে মামলার বাদী নিহত মোনালিসার বাবা শাহীন বেপারী।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদালতের আদেশের পর নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল আদালতের নির্দেশে এ জামিন হয়।

এদিকে আসামির জামিনে মুক্ত হবার পর মোনালিসার পরিবার এই মামলায় সুষ্ঠু বিচার পাবার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
তদন্তকারী সিআইডির কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সরকার জানান, আসামির জামিনে ন্যায়বিচার ব্যাহত হবে না। শিগগিরই মামলার চাজশীট দেয়া হবে। আসামির পাসপোর্ট জব্দ আছে। পালিয়ে যেতে পারবে না।

এদিকে আবু সাঈদ জামিনে মুক্ত হয়ে মামলার বাদী ও নিহতের বাবা শাহীন বেপারীকে মেরে ফেলার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। মামলার বাদী ও মোনালিসার বাবা শাহীন বেপারী জানান, জামিন পাওয়ার আগের থেকেই আমাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে আবু সাঈদের পরিবার।

জামিনে বের হয়ে এসে এই হুমকির মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। আমি বিষয়টি ফতুল্লা থানায় অবগত করেছি। এখন আমি আমার স্ত্রী ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তাদের ভয়ে নরসিংদীর গ্রামের বাড়িতে পালিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, ‘একজন বাবার সন্তান হারানোর যে কি কষ্ট তা একজন বাবাই জানে। আমি আইন এতো বুঝি না। শুধু এতটুকুই জানি আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। কিন্তু আমার প্রশ্ন কিভাবে একজন হত্যা মামলার আসামি ছাড়া পেয়ে যায়? সত্যিই কি আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার পাবো?’

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বিকালে দেওভোগ বাংলাবাজার এলাকার নিজ বাড়িতে ধর্ষণের পর খুন হয় মোনালিসা। অভিযোগ, মোনালিসাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে দুবাই পালিয়ে যায় সাঈদ। সেখান থেকে ইন্টাপোলের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ নিয়ে আসে পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement