রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ধর্ষণ মামলায় সাত মাস কারাভোগের পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন দিনমজুর ইসলাম সরদার ওরফে ফেদো। এখন বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ওই দিনমজুর।
অভিযোগ, ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ও ভাগ্নীর মামলার সাক্ষী হওয়ার ‘অপরাধে’ তার বিরুদ্ধে এ ধর্ষণ মামলা করে প্রতিপক্ষ।
বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কিয়াম উদ্দিন সরদারের ছেলে ইসলাম সরদার ওরফে ফেদো জানান, তার ভায়রার মেয়েকে ফুসলিয়ে ও জোরপূর্বক নির্যাতন করায় গোবিন্দপুর গ্রামের মোশারফ মোল্যার ছেলে মনিরুল মোল্যার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৯ আগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাকে সাক্ষী করা হয়।
সাক্ষী থাকার কারণে ও বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো: কুদ্দুস শেখের অনুপ্রেরণায় এ ধর্ষণ মামলাটি হয়।
বাদী মনিরুল মোল্যার শালিকা কালুখালী উপজেলার শিকজান বড়ই চারা গ্রামের তোফাজ্জেল মন্ডলের মেয়ে ও বথুনদিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী হেলেনা খাতুন। অভিযোগ, তাকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে বাড়িতে শ্যালক-দুলাভাই মিলে ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। মূলত মনিরুল মোল্যাকে মামলা থেকে রক্ষা করতেই এ ভুয়া মামলা।
সাবেক ইউপি সদস্য আ: কুদ্দুস শেখ ওই মেয়েকে নিয়ে থানায় হাজির হন এবং তাকে মেডিকেল পরীক্ষা করান।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর পুলিশ ফেদোকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান। প্রায় ৭ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই ফজলুল হক মামলাটি মিথ্যা হওয়ায় ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার ও তার শ্যালক হাবিল মোল্যাকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করাসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করেন। ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
মিথ্যা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা না নেয়ায় মামলার সকল নকল তুলে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে তিনি বাদী হয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী হেলেনা খাতুন, মোশারফ মোল্যা, মনিরুল মোল্যাকে আসামি করে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
ইসলাম সরদার ফেদো আরো জানান, যাতে কেউ মিথ্যা মামলা দায়ের করে পার না পায় এবং সমাজে এক শ্রেণীর মামলাবাজ দালাল রয়েছে, এদের চিহ্নিত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা