নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুঁড়িস্থ নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে নুর কায়েস (২২) ও রাশিদা (২০) নামে দুই রোহিঙ্গা যুবতী আটক হয়েছে। এসময় আনোয়ার (২৫) নামে এক দালালকেও আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাকসুদুর রহমান জানান, মেয়ে দুটি দুপুরের পর আনোয়ার নামে ওই লোকের সাথে পাসপোর্ট করতে আসে। এসময় রাশিদার কথায় সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাদের আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়।
নূর কায়েস ও রাশিদা সাংবাদিকদের জানায়, গত একমাস পূর্বে ইকবাল নামে এক ব্যক্তি তাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে ১ লাখ টাকা করে দুইজনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেয়। গত ৪ দিন আগে ক্যাম্প থেকে তাদের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুঁড়িতে নিয়ে এসে ইকবাল তার নিজ বাড়িতে রাখে। বৃহস্পতিবার সকালে আনোয়ার নামে ওই দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট করার জন্য তাদের পাসপোর্ট অফিসে আনা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-ক) মো. মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী জানান, পাসপোর্ট অফিসের লোকজন দালালসহ রোহিঙ্গা দুই যুবতীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটক নুর কায়েস কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার বাগবুনিয়া ক্যাম্পের এ-১ কেন্দ্রের আমির হামজার মেয়ে এবং রাশিদা একই থানার বালুখালি ক্যাম্পের আই-২০ কেন্দ্রের আবুল কালামের মেয়ে। নূর কায়েসের বাড়ি মায়ানমারের মংরুর আইক্ক্যাপের কুয়ান্সি ব্যাঙ্ক এলাকায় এবং রাশিদার বাড়ি মংরুর হাজ্জারুতে।
গ্রেফতারকৃত দালাল আনোয়ার কিশোরগঞ্জ জেলার করমিগঞ্জ থানার দেওপুর এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। সে ঢাকার কদমতলী থানার তুষারধারা এলাকার কালু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।