১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫
`


গল্পকথা

রিশা রাফির দিনগুলো

-

তেরো.

ছাত্রছাত্রীরা কখনো অভিযোগ করার সাহস পায়নি। কিন্তু নতুন স্যার কিভাবে ক্লাসে এলো? ওরা ফিসফিস করতে লাগল। সুমন স্যার বুঝতে পেরে বললেন, তোমাদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। অঙ্ক পরীক্ষায় ক্লাসের তিনজন রেজাল্ট খারাপ করেছে। তাদের অভিভাবকেরা প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে অভিযোগ করেছেন। তাই আমার আগমন হয়েছে। হঠাৎ রিশা দাঁড়িয়ে বলল, স্যার, আমি কতবার বলতে চেয়েছি অঙ্ক বুঝি না। বুঝিয়ে বলুন। কিন্তু বলতে পারিনি। আমাদের ভুল ধরা কারো পছন্দ হয় না। বড়রা মনে করে সব ভুল তারাই ধরতে পারে। সুমন স্যারের চোখ মুখ কঠিন হয়ে গেল। স্যার বললেন, স্থির হয়ে বসো। রিশা স্থির হয়ে বসল।
ইংলিশ স্যার ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বললেন, মাই ডিয়ার স্টুডেন্ট, অ্যাটেনশন প্লিজ টু অল মাই স্পিচ। রাফি উঠে দাঁড়াল। ভয়ে ভয়ে বলল, এক্সট্রিমলি সরি স্যার। এখানে স্টুডেন্টস হবে কারণ ক্লাসে আমি একা না। আমার সঙ্গে আরও ছাত্র-ছাত্রী আছে। স্টুডেন্ট একবচন, স্টুডেন্টস বহুবচন। স্যার ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললেন, হাও ডেয়ার ইউ!
রিশা রাফি মন খারাপ করে স্কুলে গিয়েছিল। মন খারাপ করেই স্কুল থেকে বাসায় ফিরল। ওদের অপরাধ একটাই, ওরা ভুল ধরেছিল। রাফি স্কুল ড্রেস না বদলেই ড্রইংরুমে বসল। রিশাও তাই করল। শুরু হলো দুই ভাই বোনের গল্প।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement