২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩০, ২০ মহররম ১৪৪৬
`

সুসু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী

-

বলছি সুসুদের কথা। এরা আফ্রিকা মহাদেশের একটি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী । এদের বেশির ভাগ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। কিছু ভূত, আত্মা ও দেবতায় বিশ্বাস করে। ডাকিনী বা জাদুবিদ্যাও অনেকে বিশ্বাস করে।
বেশির ভাগ সুসু বাস করে গিনিতে। বাকিদের বসবাস সিয়েরালিওন, সেনেগাল ও মালিতে।
সুসু জনসংখ্যা প্রায় ২ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন। প্রায় ২৭ লাখ ৩০ হাজার বাস করে গিনিতে, ২ লাখ ৩৭ হাজার বাস করে সিয়েরালিওনে। বাকিদের বসবাস অন্যান্য দেশে। এরা প্রধানত উপকূল এলাকায় বাস করে। জলাভূমি ও জলপথের ধারে এদের বসবাসের ঝোঁক রয়েছে।
সুসু জনগোষ্ঠীর উদ্ভব ১৩ শতকে মালি সাম্রাজ্যের যুগে। বর্তমান অবস্থানে এরা বসবাস শুরু করে ১৭২৫ সালের পরে।
সুসুদের বেশির ভাগ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ধান ও ভুট্টা এদের প্রধান ফসল। এরা আম, আনারস ও নারিকেলও ফলায়। কৃষিকাজের বাইরে অনেকে মাছ ধরে এবং লবণ উৎপাদন করে। শুষ্ক ঋতুতে লবণ উৎপাদন করা হয় এবং এর সময় প্রায় তিন মাস। কিছু সুসু ব্যবসা-বাণিজ্য করে। চামড়া ও ধাতুর কারিগর হিসেবেও এদের সুনাম আছে।
সুসুরা বাড়ি তৈরি করে মাটি বা সিমেন্টের ব্লক দিয়ে। এরা শহরের বাড়ির ছাদে লোহা ব্যবহার করে, আর গ্রামের বাড়ির ছাদে খড়।
প্রত্যেক সুসু গ্রাম পরিচালিত হয় একজন সর্দার এবং কয়েকজন বর্ষীয়ানের একটি দল নিয়ে। নেতাদের অধীনে তিন থেকে ছয় হাজার মানুষ থাকে। সুসু জনগোষ্ঠীর ভাষার নাম সোসোক্সি। এটি ম্যান্ডে ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। সোসোক্সি গিনির একাধিক জাতীয় ভাষার একটি।
সুসু সমাজে চাচাতো, মামাতো ও ফুফাতো ভাইবোনদের মধ্যে বিয়ে প্রচলিত রয়েছে। পারিবারিক সংহতি ও দলবৃদ্ধিই এর কারণ। রক্তের সম্পর্কের বাইরেও এরা বিয়ে করে। এ সমাজে বহুবিবাহও প্রচলিত।


আরো সংবাদ



premium cement