ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ
- প্রিন্স আশরাফ
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫
আটাশি.
আর ঝোপের নিচে দেখা গেল একটা কাঠের পাটাতন। পাটাতনের একপাশ ধরে টান দিল সজীব। তারপর পাশের একটা মোটা ঝোপে নাইলনের দড়ি বাঁধল। তারপর দড়ির এক মাথা রাফির কোমরে বেঁধে দিয়ে বলল, ‘তুই আগে তোর টর্চটা নিয়ে ভেতরে নেমে পড়। ভয়ের কিছু নেই। এক্সম্যান স্যার এই পথেই যাওয়া আসা করে। ভেতরে ভয়ের কিছু নেই।’
রাফি দুরু দুরু বুকে আগে নেমে পড়ল। নিচ থেকে নিচু কণ্ঠে আওয়াজ দিলো। ভালোভাবেই নেমেছি। আরেকজনকে পাঠা।’ সে দড়ি খুলে দিলো। একে একে রিমি তমা নিলয় নেমে গেল। সবশেষে গাছ থেকে দড়ি খুলে নিয়ে পাঠাতনটা ঠিকঠাকভাবে নামিয়ে দিয়ে টুপ করে লাফ দিয়ে পড়ল সজীব। আরেকটা টর্চ লাইট তার হাতে।
সজীব বলল, ‘আমি আগে আগে এগুচ্ছি। রাফি তুই সবার পেছনে থাক। আর তোরা পিছু পিছু একজন আরেকজনের হাত ধরে থাক।’
তমা বলল, ‘এরকম মাথা নিচু করে কতক্ষণ যেতে হবে?’
নিলয় বলল, ‘স্যার এতবড় সুড়ঙ্গ কতদিনে খুঁড়েছে?’
রিমি বলল, ‘এই সুড়ঙ্গ যদি স্যারের সুড়ঙ্গ না হয়?’
সজীব বলল, ‘এই পথ দিয়ে আমি বেরিয়ে ছিলাম। ভয় নেই। আমরা ঠিক স্যারের কাছে পৌঁছাব।’
নিলয় বলল, ‘স্যারকে এখান থেকে ডাক দিলে কেমন হয়?’
‘উহু। শুনতে পাবে। যদি বেশি ভয় লাগে মোমবাতি জ্বেলে নে। আমি ছুরিটা বের করে নিচ্ছি।’ একটু ফিসফিস করে বলল, ‘দেখা গেল স্যার না হয়ে অন্য কেউ সুড়ঙ্গ দখল করে আছে।’
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা