০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নি ত্যো প ন্যা স

আকাশের ওপারে আকাশ

আকাশের ওপারে আকাশ -

আটাত্তর.
কাকা মোটা গলায় বললেন, ‘কথাটা মন্দ বলোনি। সে সম্ভাবনাও আছে। কিন্তু এ কথায় তুমি কি বোঝাতে চাইছ?’
রিয়াজ আগের মতোই ইতস্তত করে বলল, ‘না মানে আমি বলছিলাম কী, আপনি তো পৃথিবীতে ঘোরাঘুরি করেন, তাই যদি পৃথিবীতে মাকে খুঁজে দেখতেন।’
‘আগেই তো বললাম তোমার মাকে আমি চিনি না। কিভাবে খুঁজব? তাকে যদি পেয়েও যাই দেখে চিনব কী করে।’
‘গ্রামের সবাই বলত আমার মা ঠিক আমার মতোই দেখতে। আমার মায়ের মুখ কেটে নাকি আমার মুখে লাগানো হয়েছে। তাই হয়তো আমার মতো কাউকে দেখতে পেলে...’
‘হু তোমার কথা বুঝেছি। দেখি পৃথিবীতে গেলেই তোমার মাকে খোঁজার কথাটা আমার মনে থাকবে। আর তুমি ছোট হলেও কফর নাগমে নগরীতে তোমার মাকে খুঁজে দেখো। বয়সটা কোনো ব্যাপার না। মাকে খুঁজতে কোনো বয়স লাগে না।
কফর নাগমে তিতলীর যাওয়ার ব্যাপারে তিতলীর বাবা-মা অনুমতি দিলো না। এমনিতে তিতলীর ছুটি প্রায় শেষ হওয়ার পথে। তাকে রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে ফিরতে হবে। তা ছাড়া সে নজীবীন পরীরাজ্যের রাজকন্যা হওয়ায় তার যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দুই পরীরাজ্যের সম্পর্ক এখন বেশ খারাপ। এ অবস্থায় ওরা যদি মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো নজীবীনের রাজকন্যাকে পেয়ে যায় তাহলে আর দেখতে হবে না। রাজকন্যাকে বন্দিনীর দুর্বলতায় হয়তো পুরো নজীবীন রাজ্যই দখলে নিতে চাইবে। দু’রাজ্যের মধ্যে তখন যুদ্ধ বেধে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়।
কফর নাগম রাজ্যে না পেলেও পৃথিবীতে ইচ্ছে মতো ঘোরার অনুমতি পেল তিতলী স্কুলে ফেরার আগ পর্যন্ত। পৃথিবীর সাথে পরীরাজ্যের কোনো বিরোধ নেই। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement