২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


ভাইপার হিংস্র শিকারি মাছ

-


আজ তোমরা জানবে ভাইপার মাছ সম্পর্কে। পৃথিবীর সব সাগরের উষ্ণ পানিতে এদের পাওয়া যায়।
লিখেছেন মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ

ভাইপার মাছের কথা বলছি। এরা গভীর সমুদ্রের হিংস্র শিকারি মাছ। দেহ ও দাঁতের গঠন সাপের মতো হওয়ায় এদের নাম ভাইপার মাছ হয়েছে। তবে ভাইপার মাছ ভাইপার সাপের মতো বিষাক্ত নয়। এদের দাঁত সাপের বিষদাঁতের মতো তীক্ষè ও সূচালো। সাধারণত প্রাণীদের দাঁত মুখের মধ্যে ঢাকা থাকে। কিন্তু এদের দাঁত এতই লম্বা যে মুখের ভেতরে রাখার জায়গা হয় না। দাঁতগুলো বেঁকে মুখের বাইরে এর চোখ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এ কারণে এদের রূপ হয়েছে ভয়ঙ্কর দর্শন। এদের মুখের এ রকম গঠন দেখে সহজেই চেনা যায়।
ভাইপার মাছ এর সূচের মতো দাঁত শিকার ধরার কাজে ব্যবহার করে। এদের রয়েছে লম্বা পৃষ্ঠীয় পাখনা। এ পাখনা আলো উৎপন্ন করতে পারে। এ আলোয় এরা শিকারকে আকৃষ্ট করে। শিকার ধরার সময় এরা প্রথমে পানিতে স্থির হয়ে ভেসে থাকে। পরে পৃষ্ঠীয় পাখনা দিয়ে আলো উৎপন্ন করে। এ আলো ঝাড়বাতির মতো জ্বলে-নেভে। এ আলো দেখে এদের শিকার কাছে এলে এরা এদের তীক্ষè দাঁত বিদ্ধ করে শিকারকে নিশ্চল করে দেয়। এরা এদের আলো উৎপন্নকারী অঙ্গ শিকার ধরা ছাড়াও যোগাযোগের কাজেও ব্যবহার করে। অন্ধকারে এদের এ ভয়ঙ্কর দর্শন মুখ অন্যান্য মাছ দেখতে পায় না। ফলে অন্ধকারে এদের মুখ হয়ে যায় অদৃশ্য ফাঁদ।
ভাইপার মাছের দেহের রঙ সবুজ, রুপালি ও কালো হয়। দেহের দৈর্ঘ্য ৩০-৬০ সেন্টিমিটার। দিনের বেলায় এদেরকে পাঁচ হাজার ফুট গভীরতায় পাওয়া যায়। তবে রাতে আবার এরা তুলনামূলক অগভীর এলাকায় চলে আসে। তখন এদেরই দুই হাজার ফুট গভীরতায় পাওয়া যায়। ভাইপার মাছ দেহের বাইরে নিঃষেক সম্পন্ন করে। অর্থাৎ পুরুষ ও স্ত্রী মাছ পানিতে স্পার্ম ও ডিম ছাড়ে। স্বাভাবিক অবস্থায় ভাইপার মাছ ১৫-৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। কিন্তু বন্দী অবস্থায় মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাঁচে। পৃথিবীর সব সাগরের উষ্ণ পানিতে এদের পাওয়া যায়।


আরো সংবাদ



premium cement