১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


নি ত্যো প ন্যা স

স্কুল ছুটির পর

-

আঠাশ.
টিপু কোথায় থাকে তা বলল, নাম বলল, স্কুল আর ক্লাসের কথা বলল। প্রতিবন্ধী ছেলেটিও তার কথা বলল। যদিও প্রতিবন্ধিতার কারণে সে অনেক নিচের ক্লাসে পড়ে। আসলে আলোক স্কুলে ঠিক ওইভাবে ক্লাস বণ্টন করা হয় না। প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ক্লাসের কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই।
টিপু নশুকে স্কুলের দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বলল, ‘এখানকার সবকিছুই তো পাগলের পাল্লায় এলোমেলো হয়ে গেছে। আর মনে হয় না খেলা হবে। তুমি এখানে থাকো। আমি বাসার দিকে যাচ্ছি।’ বলেই খেয়াল হলো বেয়ারিংয়ের গাড়ি না ঠেললে যে চলতে পারে না, সে যাবে কিভাবে। ‘তুমি এখান থেকে যাবে কিভাবে?’
‘আমার খালা নিতে আসবে।’ নশু বলল, ‘তোমাকে আর কষ্ট করতে হবে না।’
টিপুর খেয়াল হলো এই প্রতিবন্ধীদের জন্য লটারির আয়োজন। এদের উন্নয়নেই সে টাকা ব্যয় হবে। ‘লটারি হয়ে গেলে তোমাদের এই অবস্থা থাকবে না। স্কুলে দালান হবে। তোমার পা-ও ঠিক হয়ে যাবে। এই বেয়ারিংয়ের গাড়ি আর ঠেলতে হবে না।’
নশু শুষ্ক মুখে হাসল। সে-ও ওরকম কথা শুনেছে। কিন্তু নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস নেই।
এর আগে এনজিওর লোকেরা এসে ওর ছবিটবি তুলে নিয়েছিল। বলেছিল ওর চলাচলের জন্য একটা হুইল চেয়ার দেবে। তারপর তারা আর কোনো খোঁজখবর নেয়নি। সে ম্লান মুখে বলল, ‘আমার পা মনে হয় না, কোনোদিন ঠিক হবে। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement

সকল